।। প্রথম কলকাতা ।।
ঋতুচক্র চলাকালীন দেওয়া যাবে না পুজো। প্রকাশ্যে ঋতুস্ব্রাবের কথা বলতে এখনও মুখ লোকান অনেকে কিন্তু এই ঋতুচক্রই যদি হয় কোনও পুজোর থিম তাহলে? দক্ষিণ ভারতে রীতিমত উজ্জাপন করা হয় কেউ ঋতুমতী হলে জানা আছে। হ্যাঁ এবার এমনটা হবে কলকাতার বুকেও৷ আর নিন্দুকেরা মুখ লোকাবেন৷ মেয়েরা ঋতুমতী হলেই এখনও শুনতে হয় নানান নীতি-নিয়মের কথা। পুজো দেবে না, আচার ধরবে না, রাত-বিরেতে করতে হবে স্নান। কিন্তু কীভাবে থাকলে অসুস্থ হবেন না এ কথা কি কেউ বলে? নারীত্ব থেকে মাতৃত্বের দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায় এই ঋতুচক্রই৷ তারপরও এনিয়ে এত ছোঁয়াছানি কেন?
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এখন অনেকেই পর্দার আড়ালে আর মুখ না লুকিয়ে অনেকেই মুখ খুলছেন। এমনকি বাংলার ছবিও হয়ে গিয়েছে ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি। এবার আরও একধাপ এগিয়ে সমাজের ট্যাবু ভাঙতে আসছে বড়বাজারের পাথুরিয়া ঘাটা পাঁচের পল্লী। পঞ্জিকার কোনও তিথি নক্ষত্র দেখে নয়। তারা দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ করল ওয়ার্ল্ড মেনস্টুরাল হাইজিন ডে-তে। অর্থাৎ বিশ্ব ঋতুস্ব্রাব স্বাস্থ্যবিধি দিবসে শুরু হল পুজোর শুভ সূচনা
কী মনে হয় বিতর্ক হবে? হলেও কুছ পরোয়া নেই৷ সচেতনতার উদ্যোগ কাউকে তো নিতেই হবে। ইলোরা সাহা, স্থানীয় পৌরমাতা ও পুজো উদ্যোক্তা জানাচ্ছেন, ইলোরা সাহা, আয়োজক ও স্থানীয় পৌরমাতা মা দুগ্গাও তো মেয়ের জাত, অসমের কামাক্ষা পুজিত হয় গোটা বিশ্বে। জানেন দক্ষিণ ভারতে তো রীতিমত বয়ঃসন্ধির এই পর্যায়কে নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়। যা ঋতু কাল সংস্কার অনুষ্ঠান বা ঋতুশুদ্ধি নামে পরিচিত। তাহলে বাংলার পুজোয় কেন কথা হবে না মহিলাদের ঋতুচক্র নিয়ে এর সচেতনতা নিয়ে।
কলকাতার বুকে এ হবে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত তেমনটাই বলছেন অনেকে৷ অবশ্য এভাবেই তো বদলাবে সমাজ, এভাবেই তো পাল্টাবে মানসিকতা। পাথুরিয়া ঘাটা পাঁচের পল্লীর থিমে ঋতুচক্রের সচেতনতা নিয়ে কী কী চমক থাকছে সেটা ক্রমশ প্রকাশ্যে এমনটাই বলছেন উদ্যোক্তারা। এবার তাদের এই থিমে দর্শনার্থীরা কতটা সচেতন হয় তা জানতে হলে উমার বাড়ি আসার অপেক্ষা করতেই হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম