।। প্রথম কলকাতা ।।
Omicron BF.7: বেইজিংয়ের(Beijing) রাস্তা এখন শুনশান। চীনে( China) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। যার ভয়ে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। কারণ গত দু’বছর সারা বিশ্বজুড়ে যে অতিমারি দাপট চালাচ্ছে, তার উৎপত্তি চীনের উহানে। উন্নত দেশ আর কোভিড সংক্রান্ত কড়াকড়ি নীতি মেনেও চীন সরকার সংক্রমণকে রুখতে ব্যর্থ। বিশেষজ্ঞ মহল আঙুল তুলছে চীনা প্রশাসনের দিকে। দেশটিতে করোনা সংক্রমণের তথ্য বারংবার ধামাচাপার দিতে দিতে অবশেষে তার বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিএফ.৭ ( BF.7) নিয়ে কি আদৌ ভারতে আতঙ্কের কিছু আছে? নাকি সবটাই মিছে ভয় দেখানো? কোভিড ভ্যাকসিনের সবকটি ডোজ নিলেই আপনি কি এই নয়া রূপের হাত থেকে বেঁচে যাবেন? বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে।
• চীনে সংক্রমণে হার
চীন সরকার দাবি করছে যে কোভিড -১৯ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এখনও কম। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি রেকর্ড অনুসারে, সেদিন মাত্র ৩,০৪৯ টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে শুধুমাত্র মঙ্গলবারই চীন জুড়ে ৩৭ মিলিয়ন লোক নতুন ভাবে কোভিড -১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন। যা সত্যিই ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো তথ্য। চীনে কোভিড মামলার আকস্মিক বৃদ্ধি একাধিক প্রদেশ এবং শহরের হাসপাতালে রক্তের ঘাটতি সৃষ্টি করছে। দিনে ৩৭ মিলিয়ন মামলা সহ বর্তমান সংকটটি এখনো পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শানডং প্রদেশের ব্লাড সেন্টার চায়না ন্যাশনাল রেডিওকে জানিয়েছে যে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে দুটি রক্তের গ্রুপের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে। শুক্রবার কিংডাওতে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দ্বারা পরিচালিত একটি সংবাদ আউটলেট পৌরসভার স্বাস্থ্য প্রধান বলেছেন যে পূর্ব শহরটি প্রতিদিন ৪৯০,০০০ থেকে ৫৩০,০০০ এর মধ্যে নতুন কোভিড কেসের সম্মুখীন হচ্ছে।
•চীনে করোনা বিস্ফোরণ, ভয়াবহ দৃশ্য শ্মশানে
সোশ্যাল মিডিয়ায়( social media) চীনের করুণ পরিস্থিতি নিয়ে সার্চ করলেই উঠে আসছে আঁতকে দেওয়ার মতো কিছু ভিডিও। সম্প্রতি চীনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে করোনা সংক্রমিত এক ব্যক্তিকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুনশান রাস্তা ভরে উঠেছে সেই অসহায় ব্যক্তির চিৎকারে। ভয়াবহ দৃশ্য শ্মশানে। শব দাহ করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হাসপাতালে লাইন দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে শব দেহ। চার পাঁচ দিন পর তবেই শব দাহ করার সুযোগ মিলছে। দেশটির এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝে ওষুধের দাম আকাশচুম্বী। বহু ওষুধ সেন্টার থেকে মানুষ খালি হাতে ফিরছেন। শুধুমাত্র বেজিংয়ে অন্যান্য প্রদেশ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী আনা হয়েছে। সাংহাই আর বেজিংয়ের অবস্থা সব থেকে খারাপ। লন্ডনের গ্লোবাল হেলথ ইন ইনটেলিজেন্স-এর দাবি অনুযায়ী, এই সপ্তাহে চীনের করোনা সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। সবথেকে বেশি আতঙ্কের বিষয় হল, এখনো পর্যন্ত চীনে ট্রাভেলের ক্ষেত্রে সেভাবে কড়াকড়ি নির্দেশিকা জারি হয়নি। যার ফলে চীনের বহু মানুষ সহজেই জাপান, থাইল্যান্ড, ইউরোপ, আমেরিকায় চলে যাচ্ছেন। হু( WHO) এই বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ২০১৯ সালে এপ্রিলে পর ভ্রমণের কারণেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
• BF.7 নিয়ে আদৌ কি আতঙ্কিত হওয়ার দরকার আছে?
Asklepia Health নামক youtube চ্যানেলে আপলোড করা একটি ভিডিওতে ডঃ কুনাল সরকারের( Dr. Kunal Sarkar) বক্তব্য অনুযায়ী, আসলে চীনে কোভিড সংক্রমণের হার বহুদিন ধরেই চেপে রাখা হচ্ছিল। বর্তমানে এটা ফোঁড়া ফাটার মতো বেরিয়ে আসছে। কোভিডের পূর্ণ সত্য হল, লকডাউন দিয়ে কোন কাজ হয় না। চীনে যে ভাবে করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তাতে নাভিশ্বাস উঠছে গোটা বিশ্বের। এক্ষেত্রে বিষয়টিকে জটিল ভাবে না ভেবে, সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। কিন্তু চীনের রন্ধে রন্ধে রয়েছে সত্যকে গোপন করার ধারাবাহিকতা। চাইনিজদের মধ্যে আসলে ন্যাচারাল ইমিউনিটি নেই। ২০১৯ সালের অক্টোবর নাগাদ চীন যখন আমেরিকার অঙ্গুলি হেলনে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে রিসার্চ সেন্টারে এই ভাইরাস নিয়ে খেলা করতে শুরু করেছিল, তখন উহান থেকে এই ভাইরাস গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। চীন কোটি কোটি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। দেশটি বজ্র আঁটুনি প্রিন্সিপাল নিয়ে গত আড়াই বছর ধরে জিরো কোভিড পলিসি মানার চেষ্টা করেছে। চীন আদতে পৈশাচিকভাবে পৃথিবীর কাছে কিংকংয়ের মত বুক বাজিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে চীনের নাগরিকরা বলির পাঁঠা। চীন বারংবার প্রচার করেছিল যে তাদের কোভিড কেস কিংবা করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটা কম। কিন্তু আদতে ধামাচাপা দেওয়া গেল না। নিঃসন্দেহে এখন আমাদের মধ্যে ওমিক্রন রয়েছে, তাই প্যানিক করার কোন প্রয়োজন নেই। এর জন্য প্রয়োজন ইমিউনিটি। পোস্ট ডেলটা ফেস পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ওমিক্রনের লেভেলে এসে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা লিমিটেড। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম