।। প্রথম কলকাতা ।।
School Admission Age: কোন বয়সে কোন ক্লাসে ভর্তি? সেই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। আপনি কি নতুন বছরে নিজের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করার পরিকল্পনা করেছেন? এবার থেকে আর ইচ্ছেমতো বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করা যাবে না। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ন্যুনতম সময় বেধে দিল শিক্ষা দপ্তর। এই গাইডলাইন অবশ্যই জানতে হবে। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের একটি সিদ্ধান্তের কারণে আপনি খানিকটা চমকে যেতেও পারেন। আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং আগামী দিনে আপনার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানোর চিন্তা করে থাকেন তাহলে রয়েছে একটি বিশেষ খবর। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যত সময় হচ্ছে বিভিন্ন নিয়মে বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় বদল খাটানো হচ্ছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে একনয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যেখানে প্রতিটি শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে গেলে সেই পড়ুয়াদের বয়স কত হতে হবে তার তালিকা রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি এই নিয়ম মেনে স্কুলে ভর্তি করা হলে খুদেরা সঠিক সময়ে সঠিক শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে পারবে। আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন প্রতিবছর ডিসেম্বর বা জানুয়ারীর দিকে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য শিশুর বয়স হতে হবে নূন্যতম ৬ বছর। শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী আইন অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য শিশুর বয়স হতে হবে৬ থেকে ১৪ বছর, বিশেষভাবে সক্ষম হলে ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়ারা নিকটবর্তী প্রাথমিক বা প্রাথমিক স্কুলে তাদের বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট ক্লাসে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
- প্রথম শ্রেণীর জন্য বয়সসীমা ধার্য করা হয়েছে ৬ থেকে ৭ বছর।
- দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য ৭ থেকে ৮ বছর।
- তৃতীয় শ্রেণীর জন্য ৮ থেকে ৯ বছর।
- চতুর্থ শ্রেণীর জন্য বয়সসীমা ধার্য করা হয়েছে ৯থেকে ১০বছর।
- পঞ্চম শ্রেণির জন্য ১০ থেকে ১১ বছর।
- ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য বয়স সীমা ধার্য করা হয়েছে ১১ থেকে ১২ বছর।
- সপ্তম শ্রেণির জন্য বয়স সীমা ধার্য করা হয়েছে ১২ থেকে ১৩ বছর
- অষ্টম শ্রেণির জন্য বয়স সীমা ধার্য করা হয়েছে ১৩ থেকে ১৪ বছর।
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে লটারির মাধ্যমে যদি কোনো পড়ুয়া ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পান সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানাবেন ওই পড়ুয়ার অভিভাবকেরা। ৩১ শে জানুয়ারি ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকের আধিকারিকেরা ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি সুনিশ্চিত করবে।
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে কোনোভাবেই যাতে ড্রপ আউট না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে জেলার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের। অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকারি ও সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলে দশ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম