।। প্রথম কলকাতা ।।
Chandrayaan-3: চন্দ্রযান ৩ মাটিতে ছুঁতেই উচ্ছাসে ভাসছে সারা দেশ। আর এই আন্দোলনের সাফল্যের সাথে নাম জড়িয়েছে হুগলি জেলার চন্দ্রযান ৩এর নেভিগেশন বা ক্যামেরা সিস্টেমের মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন উত্তরপাড়ার বাসিন্দা জয়ন্ত লাহা। সারা দেশের সাথে বিশেষ করে খুশিতে মেতে উঠলো উত্তরপাড়ার সাথে হুগলি জেলার মানুষ। চন্দ্রযানে ভর করে চাঁদে নেমেছে ‘বীর’ বিক্রম। এবার কাজ শুরু হবে প্রজ্ঞানের। আর নেভিগেশান ক্যামেরা দলের অন্যতম সদস্য উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা। আবার পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করছে ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রমের পেটে থাকা প্রজ্ঞান এবার তার কাজ শুরু করবে। সে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ছবি তুলে পাঠাবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে। চাঁদের মাটি, খনিজ,জলের খোঁজ করবে প্রজ্ঞান। আগামী দিনে বিশ্বের কাছে নতুন দিক খুলে দেবে ভারতের এই সাফল্য।
জয়ন্ত লাহখ উত্তরপাড়ার গর্ভমেন্ট হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা করে শিবপুর বিই কলেজে ভর্তি হন। পরে খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হয়। সেখানে মাস্টার্স করার পর ইসরোতে যোগ দেন ২০০৯ সালে। চন্দ্রযান ৩ মিশনের ইসরোর বিজ্ঞানীদের যে টিম কাজ করেছে সেই টিমের অন্যতম সদস্য জয়ন্ত। চন্দ্রযানের চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সরাসরি সম্প্রচারে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বারবার দেখা যাচ্ছিল জয়ন্তকে। তাঁদের সাফল্যে দেশ আজ গর্বিত। ছেলের সাফল্যে গর্বিত তার বাবা প্রশান্ত লাহা ও মা চন্দনা লাহা।
গতকাল উত্তরপাড়ায় তাঁদের বাড়িতে যান উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব। জয়ন্ত এবং ইসরোর সাফল্যে শুভেচ্ছা জানান গর্বিত মা বাবাকে। বাবা প্রশান্ত লাহা বলেন, “খুবই আনন্দ লাগছে। এর আগে চন্দ্রযান ২ যে কোনও কারণেই হোক সফল হতে পারেনি। তখন ছেলেরও মন খারাপ হয়েছিল। এবার সেই সফলতা এসেছে। যদিও এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। ওর কনসার্ন যেটা হলো নেভিগেশন ক্যামেরা সেটা গ্রাজুয়েলি কাজ করা শুরু করেছে। আমরা আশা করব বাকি যে কাজগুলো সেগুলো সফলতার সঙ্গে হবে।’
মা চন্দনা লাহা জানিয়েছেন, “ছেলের ছোটবেলায় পোলিও হয়েছিল। কথা বলত না। একটু অসুস্থই ছিল। চিকিৎসক বলেছিলেন ওকে চাপ দেবেন না। কিন্তু ও আমাদের চাপে রাখল। আজ সারাদিন আমরা খুব চাপেই ছিলাম। ও খুব পড়তে ভালোবাসে। এখনো শুধু গল্পের বই পড়ে। ছেলের সাফল্যে আমরা গর্বিত। ও আরও বড় হোক।”
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম