।। প্রথম কলকাতা ।।
Saint Nicholas: ক্ষুদেদের মধ্যে সান্তাকে (Santa) নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। সরল মনে বিশ্বাস করে, বাস্তবে সান্তা এসে চুপিচুপি তারা যখন ঘুমাবে তাদের মাথার কাছে রেখে যাবে মন পছন্দের বাহারি গিফট। সান্তা সর্বদা শিশুদের কল্পনায় একটি জীবন্ত রক্ত মাংসের মানুষ। যার পরনে থাকে লাল পোশাক। যে বরফের দেশে স্লেজ গাড়ি চড়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয় নানান উপহার। বাস্তবেও সান্তা ক্লজ ছিল, তার নাম সেন্ট নিকোলাস (Saint Nicholas)। এই ব্যক্তিকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। খুব উদার মনের মানুষ ছিলেন। অন্যের খুশিতেই নিজে খুশি হতেন। তিনি ছিলেন গরিবের সান্তা। এই মহান ব্যক্তির সমাধিস্থল কোথায় আছেন জানেন? যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বছর আগে পর্যন্ত বিভ্রান্তির শেষ ছিল না। অবশেষে গবেষকরা একটি সাধারণ তথ্যে উপনীত হয়েছেন। বলা হয়, খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে তুরস্কের আন্তলিয়া প্রদেশে সমাধিস্থ করা হয়েছিল বাস্তবের এই সান্তাকে।
তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করেও নানান গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। নিকোলাসের মৃত্যুর প্রায় ৭০০ বছর পর গুজব রটে কেউ নাকি সমাধি খুঁড়ে তার দেহাবশেষ চুরি করে নিয়ে গেছেন। যদিও নিকোলাসের দেহ ঠিক কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই রহস্যের কিনারা এখনো পর্যন্ত করা যায়নি। সান্তা ক্লজ(Santa Claus) যেমন রহস্যে মোড়া, তেমনি নিকোলাস ছিলেন আদ্যোপান্ত রহস্যে ঘেরা। এই মানুষটির ভালো কাজের তালিকা বেশ লম্বা। একসময় বহু গ্রিক মেয়েদের যৌন পেশায় আসার জন্য বাধ্য করা হত। তিনি সেখান থেকে বহু মেয়েকে উদ্ধার করেছিলেন। আবার এও শোনা যায়, যে দৈত্যাকৃতির গাছ থেকে মানুষ ভয় পেত সেই গাছকে তিনি চোখের পলকে কোথায় মিশিয়ে দিয়েছিলেন তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তুরস্ক, গ্রিসের বিভিন্ন জায়গায় আজও কান পাতলে শোনা যাবে নিকোলাসকে কেন্দ্র করে নানান কিংবদন্তি।
তুরস্কের খ্রিস্টান বিশপ সেন্ট নিকোলাসের আদলে মানুষ তৈরি করেছেন সান্তা ক্লজকে (Santa Claus), এমনটাই মনে করেন অনেকে। যদিও এর পিছনে এখনো পর্যন্ত ১০০ শতাংশ যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেন্ট নিকোলাসের সমাধিস্থল পাওয়া গিয়েছে, দক্ষিণ তুরস্কের একটি প্রাচীন গির্জার তলা থেকে। এই গির্জার বিশপ ছিলেন নিকোলাস। বর্তমানে গির্জাটি শুধুমাত্র তার ধ্বংসাবশেষ নিয়ে অবশিষ্ট রয়েছে। তবে নিকোলাসের সেই প্রাচীন সমাধিস্থল অক্ষুন্ন রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মধ্যযুগে ভূমধ্যসাগরের জল স্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে উপকূলবর্তী ওই প্রাচীন গির্জা নষ্ট হয়ে যায়। আর জলের তলায় হারিয়ে যায় নিকোলাসের সমাধি। পরে জল স্তর নামলে জেগে ওঠে গির্জার ধ্বংসাবশেষ, তার উপরে তৈরি হয় নতুন গির্জা। আশ্চর্যের বিষয় হল, যে কক্ষে নিকোলাস প্রার্থনা করতেন সেই কক্ষটির মেঝে দেয়াল এখনো কিছুটা ভালো রয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম