।। প্রথম কলকাতা ।।
হামাসের আসল মাস্টারমাইন্ড গা ঢাকা দিয়েছে কিন্তু কোথায়? মোসাদকে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর কড়া অর্ডার
জানলে গায়ে কাঁটা দিতে পারে। ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খুঁজে পাওয়া ইজরায়েলের পক্ষে না মুমকিন। হাতে একবার এলে গলগল বের হবে হামাসের সিক্রেট। মোদ্দা কথা গাজায় হামাসের কোনো টপ লিডার বা কমান্ডার নেই। তারাজানত ইজরায়েল গাজায় পাল্টা অ্যাটাক করতে দুবার ভাববে না, কিন্তু নেতানইয়াহু বলছে গাজা কেন বিশ্বের যে প্রান্তেই হামাস নেতারা লুকিয়ে থাক না কেন? মোসাদ ধরে ধরে খুঁজে বের করবে। তাদের মধ্যপ্রাচ্য পেরিয়ে মোসাদের জাল কি তাহলে ছড়িয়ে যাবে এশিয়ার বাকি অংশেও? ওয়াকিবহাল মহল বলছে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে আর দ্বিতীয়বার ভুল করার কোনও সুযোগই নেতানইয়াহু দেবেন না।
ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলের হাজার হাজার সৈন্য তার হদিস বের করতে ড্রোন, বৈদ্যুতিক আড়ি পাতার যন্ত্র, গোপন তথ্যদাতাদেরকেউ নিয়োগ কযরে রেখেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার টিকিও খুঁজে পায়নি। প্রশ্ন হল কে এই ইয়াহিয়া সিনওয়ার? ইজরায়েলের জন্য এর একবার হদিশ পাওয়া এতটা জরুরি কেন? কেউ কেউ বলছেন আসলে ইজরায়েল র্যাথ অব গডের স্মৃতি ফেরাতে চাইছে। ১৯৭৬-এর মিউনিখ অলিম্পিক হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ‘অপারেশন র্যাথ অফ গড’ শুরু করেছিল ইজরায়েল। খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হচ্ছিল প্যালেস্টানীয় নেতাদের। সিনওয়ার যাকে দেখলেই প্রথমেই তার তুষার-শুভ্র চুল এবং কুচকুচে-কালো ভ্রু চোখে পড়বে। তিনি গাজায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা। আর ইসরায়েলের হিটলিস্টে থাকা অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি। গত ৭ই অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে অভিযানের পেছনে অন্যদের সাথে তাকেও চরমভাবে দায়ী করা হয়। যে ঘটনায় ১২০০ জন নিহত হয়েছিলেন এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে অপহরণ করা হয়েছিল। বলা হয় ইজরায়েলে হামলার সিদ্ধান্ত তারই ছিল।
ইয়াহিয়া সিনওয়ার ৬১ বছর বয়সী। মূলত আবু ইব্রাহিম নামে পরিচিত। তিনি গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তে খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। “শরণার্থী শিবিরে দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা যেসব তরুণ তখন মসজিদে যেতেন তাদের ওপর ইসলামপন্থী দলটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। যা পরবর্তীতে হামাস প্রতিষ্ঠায় বড় ধরনের প্রভাব রাখে। সিনওয়ারকে ১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো “ইসলামী কার্যকলাপের” জন্য গ্রেফতার করেছিল ইসরায়েল। তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর। তারপরও বহুবার গ্রেফতার হয়েছে সিনওয়ার। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সিনওয়ারের নাম “আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের” কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এখন মোসাদ তাকে জঙ্গলী কুকুরের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছে। নেতানইয়াহু বলছেন তিনি মোসাদকে নির্দেশ দিয়েছিল হামাসের মাথাদের নিকেশ করতে, যেখানেই তারা থাকুক না কেন।
ইসরায়েলের ধারণা সিনওয়ার বোধহয় পাতালে রয়েছে। এই হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহর পরে কার্যকরভাবে সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের দায়িত্বে আছেন। তিনি হয়ত মাটির নীচে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। গাজার মাটির নীচে সুড়ঙ্গের কোথাও তিনি তার দেহরক্ষীদের সাথে গা ঢাকা দিয়ে আছেন। ফোনের সিগনাল ধরে তার অবস্থান শনাক্ত হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে তিনি কারও সাথে যোগাযোগ করছেন না। এর মানে সিনওয়ারকে একবার ধরতে পারলে ইজরায়েলের কাছে তা বড় সাফল্য। বর্তমানে মোসাদ ঠিক সেই চেষ্টাতেই রয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম