।। প্রথম কলকাতা ।।
BJP: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এ কোন রূপ! অন্য লেভেলেরই ভোকাল টনিক বিজেপির বড় দুর্বলতা! মোদী চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন ৯০ মিনিটে বদলে গেল গোটা প্যাটার্ন। বিজেপি যা প্ল্যান করেছে সেটা টের পাওয়াটা খুব মুশকিল। জয়ের আনন্দে ঢিলেমি বরদাস্ত করবে না বিজেপি। লোকসভা নির্বাচন লোহার বর্ম পড়ে মাঠে নামবে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির কর্মকর্তাদের ঠিক কতটা চোখ কান খোলা রাখাটা দরকার সেটা মোদী বুঝিয়ে দিচ্ছেন এখন থেকেই। ৩ রাজ্যের বিধানসভায় জয়। যাকে সেমিফাইনালই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। সেখানে জিতে ওভারকনফিডেন্স হয়ে যাতে বিজেপি নেতারা ডিলেমি না দিতে থাকেন কার্যত সেই হুঁশিয়ারিটা দিয়ে দিলেন নমো। অনেকেই বলছেন কীভাবে দলের শার্পনেস বাড়াতে হয় সেটা কেউ মোদী-শাহ- নাড্ডার কাছ থেকে শিখুক।
বিজেপির এখনও রয়েছে বড়সড় দুর্বলতা মোদী সেটা দলীয় বৈঠকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। প্রশান্ত কিশোর ২০২২ সালে বিজেপির এই দুর্বলতা নিয়েই একবার কমেন্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন বিজেপির সবথেকে বড় উইকনেসই হল মোদীর ওপর এত বেশি নির্ভর করা। নমোও কি সেটাই বললেন নাকি নয়াদিল্লিতে হওয়া মিটিংয়ে দলীয় কর্মীদেরকে?
মোদী ভোকাল টনিকে তিনি বলেন, দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত দলগুলি জোট বাঁধার চেষ্টা করছে তারা পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করে সেই সঙ্গে যে সমস্ত জায়গায় সাংগঠনিকস্তরে দুর্বলতা রয়েছে সেকথাও তুলে ধরেন তিনি। একদিকে নীচুতলার কর্মীদের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। সেই সঙ্গেই যে সমস্ত জায়গায় দলীয় স্তরে দুর্বলতা রয়েছে সেকথাও ধরে ধরে জানিয়ে দেন তিনি।
কী সেই দুর্বলতা? দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশে ও পূর্ব ভারতের কিছু এলাকায় বিজেপি যে কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে সেটাই এদিন জানান প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন। শুধু সমস্যা নয় বলে দেন এর সমাধানও। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তাদের তিনি নির্দেশ দেন যে ১৬০টি আসনে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই আসন বিরোধীদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসতে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে আগামী কয়েকমাস সকলকে পরিশ্রম করতে হবে। নীচুতলার কর্মীরাই দলের সম্পদ। তাঁদের দায়িত্ব দিয়ে কাজ করাতে হবে। কীভাবে তাঁরা মানুষের কাছে যাবেন বা কি বলবেন সময়মতো তার নির্দেশ পৌঁছে যাবে নেতাদের কাছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন এখান থেকে বোঝা যায় বিজেপি কতটা সুক্ষ্মস্তরে কাজ করছে। এবার একাধিক রাজ্যে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি কিন্তু তা বলে তো আর হাল ছেড়ে শুধু জয়ের ডঙ্কা বাজালেই চলবে না। বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য থাকে। তাই এবার বিধানসভার রেজাল্ট ধরে সবল ও দুর্বল দুটো জায়গাতেই কাজ হবে লোকসভা নির্বাচনের জন্য।বিজেপি সূত্রের খবর এই বৈঠকের গোড়াতেই মোদী বিজেপি নেতাদের ৫০ শতাংশ ভোট ঝুলিতে টেনে আনার লক্ষ্য নিতে বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি এ বার লোকসভার অন্তত ৩৫০টি আসনে জেতার পরিকল্পনা করতে চাইছেন যেটা আগের বার ছিল ৩০৩ আসন।
যেই যেই রাজ্যে বিজেপি এখনও আসন ও সংগঠনের দিকে দুর্বল সেসব এলাকাই হবে বিরোধীদের টার্গেট। তাই সূত্রের খবর দলের নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মোদী বলেছেন বিরোধীদের নেতিবাচক প্রচারের জবাবে তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে ইতিবাচক জবাব দিতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে বা নেট দুনিয়ায় নিজেদের বক্তব্য আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তুলে ধরতে হবে। মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কোথায়, কত সুবিধা পৌঁছেছে, তা তুলে ধরতে হবে পাই টু পাই। মহিলা, গরিব, তরুণ ও কৃষক চার ভোটব্যাঙ্কই এবারের পাখির চোখ।
অক্ষরে অক্ষরে এই সব কথা মেনে চললে এবার বিজেপির জয় হবে আরও বড় এমনটাই বিশ্বাস করেন ভারতীয় জনতা পার্টির ৩ মূর্তি বিরোধীরা এর থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন তো? কম্পিটিশন কিন্তু এবার আরও টাফ বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম