।। প্রথম কলকাতা ।।
H3N2 Virus: গত দু’বছর ধরে যে অভ্যাস করে ফেলেছিলেন সেই অভ্যাস কি ত্যাগ করে ফেলেছেন? সবাই জানেন গত দু’বছর মানুষকে নতুন করে মাস্ক পরার অভ্যাস তৈরি করতে হয়েছিল। যদি সেই অভ্যাস এখনই ঝেড়ে ফেলেন তাহলে একটু ভুল করবেন। করোনার (Corona) দাপট কমেছে ঠিকই কিন্তু সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্বকে মুক্তি দেয়নি। উপরন্তু গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত দাপট চালাচ্ছে H3N2 ভাইরাস। এমনি থেকেই কলকাতায় (Kolkata) রীতিমত আতঙ্কের মতো গ্রাস করেছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adeno Virus)। যার কারণে ইতিমধ্যেই বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মাঝে এইচ৩এন২ ভাইরাস নিয়ে নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে বাড়ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা।
প্রতিবছর শীতের বিদায় বেলায় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, গলা ব্যথা সাধারণ উপসর্গ। এই সময় মানুষ অতটা চিন্তা না করে টপাটপ প্যারাসিটামল খেয়ে নেন, আবার কেউ বা বাড়িতে যথাযথ ভাবে বিশ্রাম নিয়ে সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু করোনার পর এই চেনা ছকের দৃশ্য একেবারে বদলে গেছে। এখন যদি এই উপসর্গগুলিকে হালকা ছলে নেন তাহলে ভুল করবেন। করোনার পর চেনা ভাইরাস ধরা দিচ্ছে অচেনা রূপে। হয়ত ভাবছেন, এইট৩এন২ নতুন ভাইরাস। কিন্তু একেবারেই তা নয়। এই ভাইরাস বহুদিন ধরেই ছিল। হয়ত এর আগে আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু তখন বোঝেননি। গত এক সপ্তাহে এইচ৩এন২ ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। যদি দেখেন দীর্ঘদিন ধরে কাশি হচ্ছে, ওষুধেও কাজ দিচ্ছে না তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে আমি এইচ৩এন২ ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন। পাশাপাশি উপসর্গের মধ্যে রয়েছে গলা ব্যথা, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়ার মতো নানান সমস্যা। হোলির আনন্দে গা ভাসান অবশ্যই, কিন্তু সতর্ক থাকুন। বেশিক্ষণ ভিজে কাপড়ে থাকবেন না। যাদের শারীরিক জটিলতা রয়েছে কিংবা শিশুদের ক্ষেত্রে ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলুন। বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক পড়ুন। এটি কিন্তু করোনার মতোই ছোঁয়াচে।
বাইরে বেরোলে অবশ্যই হাত পা ধুয়ে তবেই ঘরে প্রবেশ করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল এবং পানীয় জাতীয় খাবার খাবেন। এই সময় একটু বেশি করে সবুজ শাকসবজি এবং তাজা ফল খান। হাঁচি, কাশি হলে মুখ ঢেকে রাখুন। হাত পরিষ্কার না থাকলে সেই হাত কখনই নাক কিংবা মুখে স্পর্শ করবেন না। যদি জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখেন তাহলে নিজে থেকে মুঠো মুঠো প্যারাসিটামল না খেয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই ভাইরাস ছোঁয়াচে হলেও আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ এক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা অত্যন্ত কম। একটু সতর্ক থাকলে এই ভাইরাসকে সহজেই এড়িয়ে চলতে পারবেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম