।। প্রথম কলকাতা ।।
সুইৎজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম একাদশে থাকবেন তো ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো? ম্যাচ শুরুর আগে এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছিল রোনাল্ডো ভক্তদের মনে। আর ম্যাচের আগে প্রথম একাদশ ঘোষণা হতেই সেই আশঙ্কা সত্যি হয়। রোনাল্ডোর জায়গায় দলে আসেন গনসালো রামোস। জাতীয় দলের প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করে রামোস। নিজের হ্যাটট্রিক করে, দলকে ৬-১ ব্যবধানে বড় জয় পেতে সাহায্য করেন। তবে রামোস যার বদলে মাঠে নামেন তিনি যে রোনাল্ডো। তাই বিশ্বফুটবলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, রোনাল্ডোকে বসানোর কারণ কী? অনেকে বলছেন দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে রোনাল্ডোর আচরণ ভালোভাবে নেননি পর্তুগিজ কোচ। যার ফলে কোচের বিরাগভাজন হয়ে বেঞ্চে কাটাতে হয়েছে রোনাল্ডোকে।
তবে সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হলোপর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোসকেও। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে সুইৎজারল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে তার দল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত ছিল “কৌশলগত, এর বেশি কিছু নয়।” সান্তোস দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের চূড়ান্ত খেলায় রোনাল্ডোর প্রতিক্রিয়া নিয়ে তার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। তবে তিনি বলেন যে “বিষয়টির কোনও প্রভাব নেই। ব্যাপারটি মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্রিশ্চিয়ানো একজন অধিনায়ক এবং পেশাদার ফুটবলার হিসাবে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন … তাই আমাদের এই দলটিকে সম্মিলিতভাবে চিন্তা করতে হবে।”
রোনাল্ডোকে বাদ দেওয়া তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সান্তোস বলেন, “আমার সবসময়ই ওর সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, স্পোর্টিংয়ে ১৯ বছর বয়স থেকে তাকে চিনি এবং তারপরে এখানে জাতীয় দলে অনেক বছর ধরে।” সান্তোস বলেন, রোনাল্ডো এবং আমি কখনই কোচ এবং খেলোয়াড়ের সম্পর্কের সঙ্গে মানবিক এবং ব্যক্তিগত দিকটিকে গুলিয়ে ফেলি না। রোনাল্ডো দলে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়।” তিনি আরও বলেন, “কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে একটি “খুব কঠিন” খেলা আশা করেছি। দল স্পষ্টতই ভালো ফর্মে রয়েছে। আমরা যদি এভাবে চালিয়ে যেতে পারি এবং কিছু জিনিস উন্নত করতে পারি তবে এটি একটি ভাল পথ রয়েছে।”