।। প্রথম কলকাতা ।।
Jisshu Sengupta: সোশ্যাল মিডিয়ার দুই কন্যাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন যিশু পত্নী নীলাঞ্জনা। জানালেন, তাঁর সাফল্যের পেছনে মেয়েদের অবদান কতটা। কেন একথা বললেন নীলাঞ্জনা? কেন ধন্যবাদ জানালেন তাদের? আপনারা কী চেনেন যিশু নীলাঞ্জনার দুই মেয়েকে। জানেন কতটা গুণি তারা! তারা মাকে কীভাবে উৎসাহ দেন জানেন!
আপনারা তো দেখছেন, অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তের ব্যস্ততা কতটা। গত কয়েক বছর টলিপাড়ার পাশাপাশি তিনি বলিউড ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন।অন্য দিকে, স্ত্রী নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত সামলাচ্ছেন দম্পতির প্রযোজনা সংস্থা। প্রযোজনা সংস্থার কাজ প্রায় একার হাতেই দেখভাল করেন নীলাঞ্জনা। পাশাপাশি দুই মেয়ে সারা ও জারাকেও বড় করে তুলছেন তিনি।
নীলাঞ্জনা মনে করেন, কর্মরতা মহিলা হিসেবে তাঁর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে তাঁর দুই কন্যা। মেয়েদের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিলেন নীলাঞ্জনা। সঙ্গে লিখলেন, ‘‘কর্মরতা মা হওয়া কঠিন। কিন্তু তার থেকেও কঠিন কর্মরতা মায়ের মেয়ে হওয়া!’’ এরই সঙ্গে নীলাঞ্জনা জানিয়েছেন, তিনি কর্মক্ষেত্রে তিনি নিজের সেরাটা দিতে পারেন শুধু মাত্র তাঁর মেয়েদের জন্যই। কারণ তাঁর মেয়েরা বলে, ‘‘তুমি পারবে মা।’’ একই সঙ্গে ওই পোস্টে দুই মেয়েকে তিনি ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
যিশু-নীলাঞ্জনার বড় মেয়ে সারা এখন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অন্য দিকে জারা ষষ্ঠ শ্রেণির।সংবাদ মাধ্যমের কাছে নীলাঞ্জনা বলেন, ‘‘এটা সত্যিই জানানো উচিত বলে মনে হল।কারণ, ওদের সমর্থনটা মা হিসেবে আমার কাছে খুব বড় প্রাপ্তি।’’ নীলাঞ্জনা যখন কাজে ব্যস্ত, মেয়েরা মায়ের কতটা খোঁজখবর রাখে? নীলাঞ্জনা হেসে বললেন, ‘‘সারা দিন ওরা ফোন করে আমার খোঁজ নিতে থাকে। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়া ঠিক মতো করছি কি না, তা নিয়ে ওরা চিন্তিত থাকে।’’
এই মুহূর্তে যিশু-নীলাঞ্জনা প্রযোজিত ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ ধারাবাহিকের গল্পের সময়কাল এগিয়ে গিয়েছে। শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায় এখনও রয়েছেন। তবে রাহুল মজুমদারের পরিবর্তে এ বার দেখা যাচ্ছে ইন্দ্রাশিস রায়কে। নতুন মোড়কে ধারাবাহিক যাতে দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে, সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন নীলাঞ্জনা।
দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের ২০ বছর পার করে ফেললেন যিশু ও নীলাঞ্জনা। টলিউডের অন্যতম হ্যাপেনিং কপল তাঁরা। ভালোবেসে পরস্পরের হাত ধরেছিলেন, আজও অটুট সেই প্রেম। দুই মেয়েকে নিয়ে ভরা সংসার যিশু-নীলাঞ্জনার। সংসার সামলানোর পাশাপাশি প্রযোজনা সংস্থার কাজে ব্যস্ত থাকেন নীলাঞ্জনা। শ্যুটিংয়ের কাজে যিশু কখনও মুম্বই তো কখনও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি। তাই পরিবারকে বিশেষ সময় দিতে পারেন না যিশু। সেই নিয়ে আফসোসও শোনা গিয়েছ তাঁর কন্ঠে।
যিশুকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি না গুড হাজব্যান্ড না ভালো বাবা। কারণ পরিবারকে যতটা সময় দেওয়া উচিত আমি দিতে পারি না’। ২০০৪ সালের ৪ঠা মার্চ সদ্য প্রয়াতা অঞ্জনা ভৌমিকের বড় মেয়ে নীলাঞ্জনাকে বিয়ে করেন যিশু। ‘হিপ হিপ হুররে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন, মুম্বইয়ে গিয়ে কাজ করার সময় থেকেই প্রেম দুজনের। তারপর যত দিন গড়িয়েছে ততই যেন মিষ্টি হয়েছে তাঁদের ভালোবাসা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম