।। প্রথম কলকাতা ।।
গাজায় রাতের অন্ধকারে পূর্ণশক্তি দিয়ে হামলা ইজরায়েলের। বিশ্ব টের পাওয়ার আগেই কত বড় ক্ষতি? গোটা গাজায় এখন ব্ল্যাক আউট দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন। কাতারের মধ্যস্থতার চেষ্টা দাহা ফেল। কেউ টের পাওয়ার আগেই সব শেষ। হামাস এবার আমাদের ক্রোধ দেখবে ঠিক এই হুমকিটা দিয়ে ২৭ অক্টোবর রাতে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইজরায়েল। আগে যা পরিস্থিতি ছিল বর্তমান অবস্থা আরও করুণ। গাজার প্রায় ২ মিলিয়নেরও মানুষের বসতির উপর রাতের অন্ধকারে নেমে আসে আঘাত। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানাচ্ছে শুক্রবার রাতে ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। এতে গাজায় বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিসেবা। রাত থেকেই গাজায় আটকে থাকা আত্মীয় পরিজনদের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারগুলি। এমনকী গাজার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না সংবাদ সংস্থাগুলিও এই পরিস্থিতিতে সকলকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে প্যালেস্টাইন।
এই অভিযান শুরুর আগে গাজার সাধারণ নাগরিকদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর সেদিক লক্ষ্য করেই একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। আর এনিয়েই আন্তর্জাতিক মহলে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। বলা হচ্ছে যতদিন ধরে এই আক্রমণ চলছে এখন অবধি এটাই সবথেকে খতরনাক হামলা ইজরায়েলের। এর মানে হামাস যে যুদ্ধবিরতির দাবি করছিল বা কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরাইলের মধ্যে যে কোনো সময় যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে জানিয়েছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সেটা তাহলে দাহা ফেল হয়ে গেল। আন্তর্জাতিক মহল বলছে যুদ্ধবিরতি হলেও হামাস যাতে মাথা তুলে আর না দাঁড়াতে পারে এটা তারই নমুনা। অনুমান করা হচ্ছে যুদ্ধবিরতির আগেই গাজায় ইসরাইলি সৈন্যরা বড় স্থল অভিযান শুরু করতে পারে। হয়ত যুদ্ধবিরতির আগে শেষবারের মতো এটাই তীব্র হামলা বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দাবি গাজার সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এমূহুর্তে কোনওধরণের ত্রাণ সেখানে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। ইজরায়েলের আর্মির মুখপাত্র রেয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হেগরীর দাবি ভোরের ‘শেষ কয়েক ঘন্টায় তারা গাজায় লাগাতার বোমাবৃষ্টি চালিয়েছে। যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি এবার কোন পর্যায়ে এগোয় হামাস কি আর মাথা তুলে দাঁড়ানোর অবস্থায় থাকবে না ইজরায়েলকে কি কোনওভাবে রোখা যাবে?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম