।। প্রথম কলকাতা ।।
Meri Maati Mera Desh: ব্রিটিশদের শায়েস্তা করতে এই বাংলা ছিল দুর্জয় ঘাঁটি। বাংলাতেই আছে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর ভিটে। যার মাটি মহা মূল্যবান। এবার সেই মাটি সংগ্রহ করছেন বীর জওয়ানরা। কিন্তু কেন? এই মাটি নিয়ে হবেটাই বা কি? পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কোন কোন বিপ্লবীর বাড়ি থেকে মাটি নেওয়া হচ্ছে? জানেন? তালিকায় রয়েছেন নেতাজিও।
১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় যাঁরা আন্দোলন করেছিলেন কিংবা জেল খেটেছিলেন, তাদের সম্মান জানাতে এক অনবদ্য উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘আমার মাটি আমার দেশ’ প্রকল্পে দিল্লিতে তৈরি হবে অমৃত বাটিকা নামক বিশেষ বাগান। গোটা দেশ জুড়ে মাটি সংগ্রহ করা হবে, যা চলে যাবে অমৃত বাটিকার বাগানে। তবে এ মাটি কিন্তু যে সে মাটি নয়। নেওয়া হচ্ছে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া পুলিশ, সেনা সদস্য এবং স্বাধীনতার সংগ্রামীদের ভিটে থেকে। ইতিমধ্যেই জওয়ানরা সেই মাটি সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ‘মেরি মাটি মেরা দেশ’ অর্থাৎ ‘আমার মাটি আমার দেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে জওয়ানরা পৌঁছেছেন হুগলির বৈঁচি গ্রামে। হুগলিতে রয়েছে স্বাধীনতার সংগ্রামী প্রণব কুমার বন্দোপাধ্যায় এবং রামকৃষ্ণ বসুর ভিটে।
শোনা যায়, গান্ধীজির নেতৃত্বে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার এই দুই বিপ্লবী। সেই সময় ইউনিয়ন বোর্ডের অফিস ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। হুগলি জেল, প্রেসিডেন্সি জেল এবং আলিপুর জেল, এই তিন জেলে ক্রমান্বয়ে তারা প্রায় ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত বন্দী ছিলেন। শোনা যায়, রামকৃষ্ণ বসু রেলের তার কেটে ব্রিটিশদের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন। তারপর জেল খেটেছেন তিন বছর। ১৯৭২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাম্র পত্র দিয়ে সম্মানও জানান প্রণব বন্দোপাধ্যায়কে। ভারত মাতার এই বীর সন্তানদের ভিটের মাটি সংগ্রহের পর বৈঁচিতে পতাকা উত্তোলন ও প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।
ব্রিটিশ শাসনে এই বাংলায় জন্ম নিয়েছিল বঙ্গমাতার বহু সাহসী সন্তান। যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য মরণপণ লড়াই করেছিলেন। বাঁকুড়ায় এখনো আছে বিপ্লবী বাড়ি। যেটা ছিল অনুশীলন সমিতির গোপন আস্তানা। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এখানে আত্মগোপন করেছিল বহু বিপ্লবী। এই বাঁকুড়ার ছেঁদাপাথর গ্রাম হয়ে উঠেছিল গোপন অস্ত্র শিক্ষণ কেন্দ্র। এই বাংলাতেই আছে নেতাজির পৈতৃক ভিটে। নেতাজির সুভাষগ্রামের বাড়ির মাটিও পাড়ি দিয়েছে রাজধানীর উদ্দেশ্যে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম