।। প্রথম কলকাতা ।।
লজ্জার ইতিহাস বাংলাদেশ ফুটবলে৷ মদ নিয়ে আসার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের কয়েকজন ফুটবলারের বিরুদ্ধে৷ এএফসি কাপ খেলে ফিরছিল বসুন্ধরা কিংস ফুটবল দল, আর তার মধ্যেই এই কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। মাজিয়ার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে মালদ্বীপ থেকে ফেরার পর থেকেই স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের পাঁচ ফুটবলার। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় ওড়িশার বিপক্ষে কিংসের এএফসি কাপের সোমবারের ম্যাচের আগে।
জানা যায়, দেশে ফেরার সময় সঙ্গে করে অবৈধভাবে মদ আনার দায়ে দলের পাঁচ ফুটবলারের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এএফসি কাপে ওড়িশার সঙ্গে হোম ম্যাচের আগে হঠাৎ করেই নিষিদ্ধ হওয়া এই পাঁচ ফুটবলার হলেন সেন্টারব্যাক তপু বর্মণ, গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার শেখ মুরসালিন, স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজ ও ফুলব্যাক রিমন হোসেন। ঘটনায় জড়িত এই পাঁচজনের সঙ্গে দলের দুই স্টাফের ওপরও বর্তেছে নিষেধাজ্ঞার খড়্গ।
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অনুমতি ছাড়া মদ বা মাদক জাতীয় পণ্য বহন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বিমানবন্দরেই বিষয়টি জানতে পেরেই দ্রুত পাঁচ ফুটবলারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে বসুন্ধরা কিংস কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী মাজিয়া স্পোর্টসের বিরুদ্ধে খেলে ফেরার সময়ে ১৯ সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দরে তাদের কাছে ৬৪ বোতল মদ পায় বিমান বন্দরের কাস্টমস আধিকারিকরা। বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পাঁচ খেলোয়াড় শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। এ জন্য তাদের সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছি। সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির অধিকতর তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে কে কতটা দোষী, সে অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বড় প্রত্যাশা নিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লে-অফ দিয়ে মরসুম শুরু করেছিল বসুন্ধরা কিংস। শারজাহ এফসির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিশন শেষ হয়েছে টানা চারবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের। যে কারণে এশিয়া অঞ্চলের দ্বিতীয় সারির ক্লাব প্রতিযোগিতা এএফসি কাপে খেলতে বাধ্য হচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া এফসির কাছে ৩-১ গোলে হেরে এএফসি কাপে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশের ক্লাবটি। এমন হারের পর পাঁচ ফুটবলারের এমন কর্মকাণ্ড কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তারও পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে ফুটবলারদের এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম