।। প্রথম কলকাতা ।।
DA: ফের সুপ্রিম কোর্টে (Suprme Court) পিছল ডিএ (DA) মামলার শুনানি। শেষবার ১৫ মার্চ থেকে ২১ মার্চ শুনানির দিন পিছিয়ে যায়। এদিন ডিএ মামলার শুনানি স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে পরবর্তী শুনানির দিনও ঘোষণা করে উচ্চ আদালত। আগামী ১১ এপ্রিল বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে পরবর্তী শুনানি হবে। মঙ্গলবারের এই মামলার শুনানির দিকেই তাকিয়ে ছিল রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। গতবছরেই ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার প্রথম শুনানির দিন ছিল। কিন্তু শুনানি হয়নি। এরপর আরও তিন বার শুনানির দিন পিছিয়ে অবশেষে ২১ মার্চ হবে বলে জানানো হয়।
গতবছর সেপ্টেম্বরে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে ৩ মাসের মধ্যে কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের দাবি, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের। যা সরকারের পক্ষে বহন করা অত্যন্ত কঠিন। যদিও তা মানতে নারাজ ছিল রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। শীর্ষ আদালত সেই সময় জানিয়ে দেয়, AICPI মেনে ডিএ দেয় সব রাজ্য। আর রাজ্য সরকারের কত টাকা খরচ হবে তা দেখার দায় আদালতের নয়। এরপর আদালত সরকার ও মামলাকারী সবপক্ষের কাছে শর্টনোট ও হলফনামা চায়। সেই মতো হলফনামা জমাও দেন রাজ্য ও সরকারি কর্মীরা।
গত বছর ৫ ডিসেম্বরে ডিএ মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। মামলাটির শুনানির জন্য নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠনও করা হয়। নতুন ডিভিশন বেঞ্চে ছিলেন দুই বাঙালি বিচারপতি। বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। শুনানির দিন মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। ফলে মামলার শুনানির দিন পিছিয়ে করা হয় ১৬ জানুয়ারি। গত জানুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সুপ্রিম কোর্টে আবারও তা পিছিয়ে যায়। তখন জানা যায় মামলায় রাজ্যের তরফে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছিল তাতে ত্রুটি থাকার কারণে শুনানি পিছিয়ে যায়।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ছয় শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ পান। যে বেতন কমিশনের সুপারিশ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। প্রাথমিকভাবে তিন শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছিল। চলতি বছরের মার্চে তা আরও তিন শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ডিএ-র দাবিতে ৫২ দিন ধরে ধর্মতলায় সংগ্রামী যৌথমঞ্চ করে আন্দোলন করছেন সরকারি চাকুরিজীবীরা। ৪০ দিন ধরে চলছে অনশন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম