।। প্রথম কলকাতা ।।
Gaighata: স্কুলের উন্নয়নের জন্য আসা বিভিন্ন সামগ্রী থেকে শুরু করে স্কুলের লাইব্রেরিতে থাকা বই পর্যন্ত বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আর এই কাজটি করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও স্কুলের সহ শিক্ষক এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে ওই স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকের তরফ থেকে। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) গাইঘাটার আংরাইল মানবতা প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুক্রবার অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা (Head Mistress)।
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের (School) লাইব্রেরিতে যে বইগুলি রয়েছে সেগুলি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি স্কুলের মেরামত করার জন্য যে বালি, রড, খোয়া প্রভৃতি আনা হয়েছিল সেগুলিও কাউকে না জানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। এখানেই শেষ নয়। অভিভাবকরা (Parents) আরও জানান, স্কুলে পঠন পাঠন ঠিক মতো হয় না। মিড ডে মিলও ঠিকঠাক দেওয়া হয় না পড়ুয়াদেরকে। স্কুল চলাকালীন অধিকাংশ পড়ুয়া স্কুলের মাঠে ঘুরে বেড়ায়। সে ক্ষেত্রেও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশেষ কোনো নজরদারি নেই।
এই সমস্ত বিষয়কে সামনে রেখে গতকাল স্কুলে একটি মিটিং ডাকা হয় অভিভাবকদের তরফ থেকে। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা ওই মিটিং শুরু হওয়ার আগেই স্কুল বন্ধ করে চলে যান বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর অভিভাবক সহ স্কুল কমিটির সদস্যরা শুক্রবার মেন গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে প্রধান শিক্ষিকা জানান, স্কুলের সামগ্রী বিক্রি করার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না পাল্টা স্কুলের সহ শিক্ষকের ঘাড়ে অভিযোগ চাপিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। তাঁর দাবি, অভিভাবকরা তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগগুলো তুলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এমনকি সংবাদমাধ্যমের সামনে বার কয়েকটি নিজেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলে মানতে অস্বীকার করেন তিনি। বারবার সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে নাম জানতে চাওয়ার পরেও রীতিমতো মুখে কুলুপ আঁটেন। স্কুলের সহ-শিক্ষক সুকুমার সরকারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগগুলি ওঠে তা পুরোপুরি মিথ্যে, এমনটাই দাবি করেছেন খোদ সুকুমারবাবু। সহশিক্ষকের বাড়তি সংযোজন, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিভাবকরা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম