।। প্রথম কলকাতা ।।
Dev: মা মারা গিয়েছে প্রায় ৪ বছর হল। অসহায় মেয়ের সম্বল বলতে বৃদ্ধ বাবা। কিন্তু বছর দেড়েক আগে বাবারও স্ট্রোক হয়। হাঁটাচলা করতে পারেন না। বিছানাতেই কাটে দিনের ২৪ ঘন্টা, তবে জ্ঞান আছে। কথা বলতে পারেন। কিন্তু সেই বাবাও অসুস্থ। কয়েকদিন হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে, লোকাল এমএলএ, সবার দরজায় ঘুরেছে মেয়ে। বাবার চিকিৎসার জন্য। কিন্তু সাহায্য পাননি। অবশেষে দেবদূতের মতো হাত বাড়িয়ে দিলেন টলিউডের সোনু সুদ, সবার প্রিয় নায়ক সুপারস্টার দেব।
হুগলির ধনিয়াখালির বাসিন্দা চন্দ্রিনী চ্যাটার্জি। বাবার চিকিৎসার জন্য বড় বড় নার্সিংহোমে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন। কিন্তু বেড পাচ্ছিলেন না। সম্প্রতি তার বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করলেও কোনো সুরাহা মেলেনি। সেখানে থেকে বাবাকে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় কলকাতার একটা নাম করা সরকারি হাসপাতালের নিউরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টে। কিন্তু কয়েক দিন কেটে গেলেও বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। অন্যত্র চিকিৎসার চেষ্টা করতে থাকেন। যে যে নার্সিংহোম স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আওতায় রয়েছে সেখানে যান। কিন্তু কোথাও বেড পাচ্ছিলেন না। সবাই ফিরিয়ে দিয়েছিল। এমএলএ থেকে শুরু করে তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীদের সবার কাছে গিয়েছেন। আশ্বাস পেয়েছেন কিন্তু সমস্যা মেটেনি। এমনকি এত বড় শহরে তার মাথায় তার মাথা গোঁজার ঠাঁই পর্যন্ত নেই। রাত কাটে হাসপাতালে ওয়েটিং রুমে।
অবশেষে বেসরকারি এক গণমাধ্যমে দেওয়া তার সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিষয়টা নজরে আসে দেবের। ভিডিওর কিছুটা অংশ দেবের ফ্যান সৌমেন দাস টুইটারে পোস্ট করেন। সেটি ট্যাগ করেন দেবকে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেবের তরফ থেকে আসে রিপ্লাই। জানান, বিষয়টি দেখে নিচ্ছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার দেবকে সাধারণ মানুষের বিপদে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে। করোনার সময় বহু মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বছর দুয়েক আগে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ১১ বছরের ঝিলিক রাস্তায় ঘুরছিল। তখনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন দেব। তার বাবার চিকিৎসার খরচ বহন করবেন বলে আশ্বাসও দেন অভিনেতা দেব। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে, দেবের ফ্যানেরা আশা করছেন, চন্দ্রিনী চ্যাটার্জীকেও অসুস্থ বাবাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। বাবার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম