।। প্রথম কলকাতা ।।
আচ্ছা, সিরিয়ালের শুটিংয়ের সময় অভিনেতা অভিনেত্রীরা দুপুরে কি খান? সকলে যা খান তাই? নাকি, অন্য কোনও কিছু? আচ্ছা বলুন তো ,প্রতিদিন কতক্ষণ করে শুটিং হয়? প্রতিদিন সিরিয়াল তো দেখেন, কিন্তু এক একটা এপিসোড তৈরি করতে কতো সময় লাগে জানেন?কিংবা ধরুন, যাঁদের তোলা সব ছবি আমরা দেখি সেই ক্যামেরাম্যানরা কত টাকা পারিশ্রমিক পান? জুনিয়র আর্টিস্টরাই পান কতো? এসবের অনেক কিছুই আমাদের মনের মধ্যে উঁকি দেয়, তাই না? চলুন আজ দেখে নিই সিরিয়ালের শুটিংয়ের ভেতরের কথা। একটা মেগা সিরিয়ালের শুটিং মানেই হৈ হৈ ব্যাপার। টেকনিসিয়ান, অভিনেতা অভিনেত্রী মিলিয়ে শুটিং ফ্লোরে থাকেন ষাট সত্তর জন। ইউনিট বড় হলে তা দেড়শো জনেও পৌঁছে যায়।
তাঁদের জন্য দুপুরে খাবারে থাকে ভাত রুটি। এছাড়াও থাকে ডাল তরকারি, মাছ, ডিম,চিকেন। নিরামিষাশিদের জন্য থাকে দই। যে যেটা খুশি খেতে পারেন। তবে মাথা পিছু বরাদ্দ পঁয়ষট্টি সত্তর টাকা। জুনিয়ার আর্টিস্টরাও সকলের সঙ্গে এই খাবার খান। নামি অভিনেতা অভিনেত্রীদের জন্য তাঁদের পছন্দমতো খাবার আনিয়ে দেওয়া হয় নামি রেস্টুরেন্ট থেকে। বিরিয়ানি, তন্দুরি বা অন্য খাবারের অর্ডার করেন তারা। কেউ কেউ আবার বাড়ি থেকেও খাবার নিয়ে আসেন।এবার আসা যায় শুটিংয়ের সময়ের কথায়। আগে সতেরো আঠারো ঘন্টাও শুটিং হতো। তিন চার ঘন্টা বিরতির পর আবার শুরু হতো পরের দিনের শুটিং। দিনের পর দিন এই পরিশ্রমের ফলে টেকনিসিয়ানরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তাই ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দিনে সর্বোচ্চ চোদ্দ ঘন্টার বেশি শুটিং করা যাবে না। দশ ঘন্টার পর কর্মীদের ওভার টাইম দিতে হবে।
এখন মেগা সিরিয়ালের জন্য দিনে বারো চোদ্দ ঘন্টা শুটিং হয়। এক এক দিনে একটা এপিসোড বা তার কিছুটা বেশি শুটিং হয়। একটা এপিসোড মানে কমবেশি তেইশ মিনিট। তার জন্য দিনের বেশিরভাগ সময়টাই লেগে যায়। লাইটম্যান, টেকনিসিয়ানদের অনেকে দৈনিক পারিশ্রমিক পান। তবে ক্যামেরাম্যানের পারিশ্রমিক হল তেইশ দিনে সাতষট্টি হাজার টাকা। ওভারটাইম আলাদা। অনেক ক্যামেরাম্যানই নব্বই হাজার, এক লাখ বা তার বেশি চুক্তিতে কাজ করেন। জুনিয়র আর্টিস্টরা সাপ্লায়ারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকে। কাজ অনুযায়ী সাপ্লায়ারের কাছ থেকে পারিশ্রমিক বুঝে নেন তাঁরা। বেশিরভাগ শুটিং হয় টালিগঞ্জে। আবার তার বাইরেও স্টুডিও আছে। কোন স্টুডিওতে শুটিং হবে তা নির্মাতারা ঠিক করেন। তবে সবকিছুই নির্ভর করে সিরিয়ালের বাজেটের ওপর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম