।। প্রথম কলকাতা।।
Haldia Sea Food Processing Center: বাংলা থেকে বিদেশে বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ নিয়মিত রপ্তানি (Export) করা হয়। রাজ্যে যদি প্রসেসিং ইউনিট থাকে তাহলে এই রপ্তানিতে আরও বেশি সুবিধা হবে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই সুবিধা দিতেই এবার রাজ্যে তৈরি হতে চলেছে আন্তর্জাতিক মানের সি ফুড প্রসেসিং সেন্টার। এটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ার বাসুদেবপুরে গড়ে তোলা হবে। সেখানে মাছ সংরক্ষণ থেকে শুরু করে বিদেশে পাঠানোর জন্য প্যাকেজিংয়ের সব রকম অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। আর এই সম্পূর্ণ প্রসেসিং সেন্টারটি (Sea Food Processing Center) তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় আট কোটি টাকা।
মৎস্য দফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিদেশে রাজ্য থেকে এখন প্রায় ৮০০-৯০০ কোটি টাকা সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি করা হয়। কিন্তু সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণ বা প্রক্রিয়াকরণ করার জন্য কোনরকম ব্যবস্থা নেই রাজ্যে। তাই খুব বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় না সামুদ্রিক মাছ। কম সময়ের মধ্যেই সেগুলি পচন ধরতে শুরু করে। এই কারণে বহু মাছ নষ্ট হয়ে যায়। যা ক্ষতির সামনাসামনি এনে দাঁড় করায় মৎস্যজীবীদের (Fisherman)। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই হলদিয়ার (Haldia) বাসুদেবপুর মৌজায় মাছ প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করা হবে। আর এই জায়গাটি দিঘা- শংকরপুর সমুদ্র বন্দরের খুব কাছাকাছি হবে বলেই জানা গিয়েছে।
এই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র হল জলপথে রপ্তানি হবে আরও মসৃণ। যেহেতু রাজ্যে মাছ সংরক্ষণ করে রাখার মতো ব্যবস্থা নেই, সেই কারণে পচন ধরার ভয়ে সেগুলিকে আগেই বিক্রি করে দিতে হয়। তাই অনেক সময় অনেক কম দামে রপ্তানি করে দিতে হয় মাছগুলি। কিন্তু এই সি ফুড প্রসেসিং সেন্টার যদি তৈরি হয় তাহলে মাছ সংরক্ষণ অন্য মাত্রা পাবে বাংলায়। সম্পূর্ণ যন্ত্রের সাহায্যে মাছ সংরক্ষণের কাজটি চলবে ওই সেন্টারে। থাকবে ভিন্ন ভিন্ন ইউনিট আর সেই ইউনিটের মধ্যে মাছ সংরক্ষণ ও প্যাকেজিং করার সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে। এতে মাছের উপাদান বাড়বে। সামুদ্রিক মাছের রপ্তানি ব্যবসা আরও বড় আকার ধারণ করবে এবং নির্দিষ্ট মাছের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য হাতে পাবেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীরাও।
তথ্যসূত্র : এই সময়
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম