।। প্রথম কলকাতা ।।
Joint family: যৌথ পরিবার প্রায় ইতিহাস। কয়েকশো স্কোয়ার ফুটের ফ্ল্যাটে এখন সব বাবা মা আর এক সন্তান বড় জোর ২। বেড়ে ওঠার এই সীমিত পরিসরে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকা জিনিসপত্র ভাগ করে নেওয়ার প্রবণতা এখন শিশুদের মধ্যে কমে যাচ্ছে।
একজন মানুষ তার বেড়ে ওঠার সর্বপ্রথম আবাসস্থল হিসেবে পায় পরিবারকে। পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের মাঝে একজন মানুষ তার দৈহিক এবং মানসিক বৃদ্ধি করতে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। কেননা মানুষ একা বাস করতে পারে না। খাওয়া, দাওয়া পড়াশোনা বাজার করা ঘুরতে যাওয়া বিনোদন ইত্যাদি সকল বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা একত্রে মিলে করে থাকে।
বিয়ে মানে দুটি মানুষের বন্ধন নয় বিয়ে মানে দুটি পরিবারের বন্ধন। আমাদের সামাজিক রীতি অনুযায়ী বিয়ের পর মেয়েটি বাসিন্দা হয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির। আপন করে নিতে হয় অচেনা মানুষদের। এখন অনেক নিউক্লিয়ার পরিবার দেখা গেলেও যৌথ পরিবার একেবারে বিলুপ্ত হয়নি। আর বড় পরিবারে চলতে গিয়ে ছোটখাটো ঝামেলা বাধতেই পারে। সেক্ষেত্রে আপনি সামলে চলবেন কিভাবে।
সবাইকে আপন ভাবুন। যৌথ পরিবারে সবার সঙ্গে সমানভাবে সখ্যতা হবে না। এই নিয়ে একদম চিন্তিত হবেন না মনে রাখবেন বাড়ির সবাই আপনার আপনজন।
বড়দের সম্মান করুন। প্রবীণ সদস্যদের সম্মান করুন। তাদের কথার বিপরীতে পাল্টা কথা বলতে যাবেন না। প্রয়োজনে আপনার স্বামীকে আলাদাভাবে বুঝিয়ে বলুন কেন আপনি সেই বিষয়টিতে সমর্থন দিচ্ছেন না।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন বিয়ে মানে নতুন দায়িত্ব। যত সহজে দায়িত্বগুলো আপনি নিতে পারবেন তত আপনার সুবিধা। সবার বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। বাড়িতে যারা আপনার চেয়ে বয়সে ছোট তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করুন।
ইতিবাচক মনোভাব শশুর শাশুড়ি প্রতি রাখুন। সেখানে কেউ কেউ আপনার ছোটখাটো ভুলত্রুটির জন্য হালকা খোঁচা দিয়ে কথা বলবে হয়তো এর বেশি কিছু নয়। সিনেমা, নাটক দেখে যৌথ পরিবার সম্পর্কে ভুল ধারণা পুষে রাখবেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম