।। প্রথম কলকাতা ।।
Sikkim Disaster turned Tourism: গন্তব্য ছিল সিকিম! কিন্তু যেতে হচ্ছে ডুয়ার্স কিংবা দার্জিলিং। রাতারাতি বেড়ে গেলো ডুয়ার্স দার্জিলিং এর হোটেল বুকিং। হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্যুর অপারেটর দের।বিধ্বস্ত সিকিমের দিকে পা বাড়াচ্ছেন না পর্যটকরা। মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদের। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হরপা পানে ভেসে গিয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমের একটা বড় অংশ। এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে সিকিমের পর্যটন শিল্প। বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরাও।
পুজোর আগে রাস্তা ঠিক না হলে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে পর্যটনে। পুজোর মরশুমে গড়ে ৫ লক্ষ পর্যটক গ্যাংটক এবং সিকিমের অন্যান্য জায়গা ঘুরতে যান। মনে করা হচ্ছে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ বুকিং ক্যানসেল হতে পারে। এবার এই বিপুল পরিমাণ পর্যটককে অন্য জায়গায় কোথায় বন্দোবস্ত করা যায় তা ভেবে এখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে ট্যুর অপারেটরদেড়।
এই মুহূর্তে কেউ আর সিকিমগামী হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। ফলে মোড় ঘুরেছে লাটাগুড়ি, গরুমারা, জলদাপাড়া, বক্সা, চিলাপাতা সহ ডুয়ার্সের জঙ্গলও। পাশাপাশি লাগোয়া এ রাজ্যের পাহাড়গুলি যেমন, লাভা লোলেগাঁও, দার্জিলিং এবং আশপাশের জায়গাগুলিতে হোটেল, রিসোর্ট বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। এখন সিকিমের বদলে অন্য কোথাও বুকিং দেওয়া যায় কি না, তা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সকলকেই। বুধবার সকাল থেকেই ভ্রমণ সংস্থাগুলির ফোন ব্যস্ত। কারও প্রশ্ন, আদৌ যাওয়া যাবে কি? কেউ আবার বিকল্প ব্যবস্থার বন্দোবস্ত শুরু করেছেন। যদিও পুজোর আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা জোগাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
অন্যান্য দিনের মতই বুধবারও পর্যটকরা আসেন শহরে। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই সিকিম যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হড়পাবানের জেরে বাংলা-সিকিম যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাঁরা ডুয়ার্সে চলে যান। অনেকে আবার বাড়িও ফিরে গিয়েছেন। কিছুদিন পরেই পুজোর মরশুম শুরু হবে। পাহাড়ে হোটেল থেকে হোম স্টে সব বুকিং হয়ে রয়েছে। কিন্তু তার আগেই এত বড় বিপর্যয়ের জেরে আতঙ্কিত পর্যটকরা। যেভাবে তিস্তা গিলে ফেলেছে প্রতিটি পথঘাট তাতে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে মাসখানেকের বেশি লাগবে। তাই পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। তাঁরা বিশাল বড় ক্ষতির মুখে।
যে সকল পর্যটক সিকিমের জন্য বুকিং করেছে তাঁরা যাতে তা বাতিল না করে তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে বেড়াচ্ছেন ট্যুর অপারেটররা। কীভাবে পর্যটকদের বুকিং বাতিল আটকানো যায় তাই চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।শুধু তাই নয় সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের সুরক্ষিত অবস্থায় কীভাবে নামিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন তারা। সিকিমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মন ভেঙে দিয়েছে পর্যটকদের। যাঁরা সিকিম যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন বা ২-১ দিনের মধ্যেই রওনা দেওয়ার কথা, তাঁদের মন ভারাক্রান্ত। এই পরিস্থিতি বিকল্প গন্তব্য হিসেবে বেছে নিতে হচ্ছে ডুয়ার্স বা দার্জিলিং কে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম