।। প্রথম কলকাতা ।।
Turkey Earthquake: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তুরস্কের মৃত্যুর সংখ্যা। দেশটি যেন এখন মৃত্যুর উপত্যকা। চারিদিকে শুধু কান্না আর হাহাকার। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূখণ্ডে মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত উদ্ধারকার্য চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রচুর মানুষ চাপা পড়েছেন। সোমবার ভোররাত ৪টে ১৭ মিনিটে হঠাৎ করে ভয়ঙ্কর ভাবে কেঁপে ওঠে তুরস্কের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৮। সেই সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমন্ত ছিলেন। তুরস্কে এই প্রথম নয়, প্রায় ৮৪ বছর আগে এই রূপ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সাক্ষী ছিল দেশটি। তখন মৃত্যু ছাড়িয়েছিল প্রায় ৩০ হাজারের বেশি। তুরস্ক ছাড়াও এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে লেবানন, সাইপ্রাস এবং ইসরায়েলে। তুরস্ক যেন এখন মৃত্যুর লীলাভূমি। উদ্ধারকার্যে অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে শীতকালীন তুষারঝড়। ইতিমধ্যেই তুষার ঝড়ে অধিকাংশ রাস্তা আটকে পড়েছে। ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন প্রায় ১৪ হাজারের বেশি মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪ হাজারের বেশি ভবন।
প্রথমে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর দেশটি কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুনরায় ৭.৬ আর ৬ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। তুরস্কের মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২৩০০ জনের বেশি। অপরদিকে সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২ হাজার জনের কাছে। এই মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবথেকে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে দক্ষিণ তুরস্ক আর উত্তর সিরিয়ায়। ত্রাণ এবং উদ্ধার তৎপরতা চলছে। ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্র তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর তুরস্কে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। তুর্কি এবং বিদেশি প্রতিনিধিত্বে ১২ই ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্ত পর্যন্ত দেশটির পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
কম্পন অনুভূতি হয়েছিল মাত্র ১ মিনিট। তার মধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দেশটি। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা গ্রিনল্যান্ডে পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়েছে। লেবাননের মানুষ প্রায় ৪০ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভব করে। তুরস্কের এই বিপদে বিশ্বের বহু রাষ্ট্র সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ব্যাপক প্রাণহানি আর সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি সাহায্য করার ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ এর দল একটি প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে গাজিয়াবাদ থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।