।। প্রথম কলকাতা ।।
Kolkata Metro: কারেন্ট গেলেও এবার চলবে কলকাতা মেট্রো। আটকাবে না টানেলে বিদ্যুত বিপর্যয় হলেও যাত্রী আর পড়বেন না মুশকিলে। কলকাতা মেট্রোয় এবার আসছে বড় প্রযুক্তি নোয়াপাড়া, শ্যামবাজার, টালিগঞ্জ না কালীঘাট কোন কোন স্টেশন পাচ্ছে নয়া এই টেকনলজি। মেট্রোয় উঠে একবার কারেন্ট যাওয়া মানেই ভোগান্তি৷ সুড়ঙ্গের মাঝে আটকে পড়ে মেট্রোরেল কিন্তু এবার এমনটা আর হবে না কলকাতার ‘লাইফলাইনে’ এবার আসছে একেবারে নতুন ব্যবস্থা। দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ রুটে মেট্রোয় এবার বসানো হচ্ছে ‘ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম’।
আপনি জানলে অবাক হবেন দেশের মধ্যে প্রথম কলকাতা মেট্রোয় এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে। যার ফলে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সুড়ঙ্গে অন্ধকারের মধ্যে প্রাণভয়ে আর অপেক্ষা করতে হবে না মেট্রোর যাত্রীদের। কীভাবে কাজ করবে এই বিইএসএ? সব স্টেশনই কি এর সুবিধা পাবে নাকি বেছে নেওয়া হবে কোনও স্পেশাল স্টেশন? কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানাচ্ছেন ইনভার্টার এবং অ্যাডভান্স কেমেস্ট্রি সেল ব্যাটারির সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। হঠাৎ যদি বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে তা হলে এই পদ্ধতির সাহায্যে মেট্রোর রেককে পরের স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যাবে।
এর মানে সুড়ঙ্গের মধ্যে আর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না মেট্রোকে। সেই সঙ্গে বড় পাওনা এই গোটা প্রযুক্তিটিই হল পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা। আনন্দবাজার পত্রিকা তথ্য বলছে
নোয়াপাড়া, শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল এবং যতীন দাস পার্ক এই চারটি সাবস্টেশনে বসানো হবে এই প্রযুক্তি। শুধু তাই নয় মেট্রোয় আগুন লাগলে এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো যাবে সেক্ষেত্রে সুড়ঙ্গের মধ্যে বায়ু চলাচলের জন্য যে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের দরকার তার ব্যবস্থা করা যাবে এই পদ্ধতিতে। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সুড়ঙ্গের মধ্যে মেট্রো আটকে পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়
যার জেরে আতঙ্ক মেট্রোযাত্রীদের নিত্য সঙ্গী। নতুন এই ব্যবস্থার ফলে সেই আতঙ্ক যেমন কাটবে তেমনই যাত্রীদের সুরক্ষাও আরও জোরদার করা যাবে।
এক্ষেত্রে চার মেগাওয়াট চার কোয়াড্রেন্ট ইনভার্টার চালুর জন্য শক্তি সঞ্চয়ক উপাদান হিসাবে থাকবে লিথিয়াম আয়রন ফসফেট (এলএফপি) অথবা লিথিয়াম টাইটেনিয়াম অক্সাইড (এলটিও) নোয়াপাড়া, শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল এবং যতীন দাস পার্ক চারটি মেট্রো স্টেশনে এক মেগা ওয়াটের ইনভার্টার বসানো হবে। এই ব্যবস্থার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে এমনকি যদি গ্রিড বিপর্যয় ঘটে তা হলে সুড়ঙ্গে আর আটকে পড়বে না মেট্রোর রেক ঘণ্টায় ১৫-২০ কিমি গতিতে মেট্রোর রেকটিকে পরের স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যাবে। যার ফলে সুবিধা পাবে বাকী স্টেশনগুলিও। তথ্য বলছে শুধু যাত্রী সুরক্ষাই নয় মেট্রোর বিদ্যুৎ খরচেও সাশ্রয় হবে এই ব্যবস্থায়। ব্যস্ত সময়ে মেট্রো চালাতে ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় বিইএসএস ব্যবস্থায় চার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা জোগাবে। ফলে ব্যস্ত সময়ে মেট্রো চালানোর জন্য কম পরিমাণে বিদ্যুৎ কিনতে পারবেন কর্তৃপক্ষ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম