।। প্রথম কলকাতা ।।
Child Care in Summer: বাইরের তীব্র দাবদাহ। এই অসহ্যকর গরমে বড়রাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শিশুদের (Children) একটু বিশেষ যত্ন (Special Care) নেওয়া প্রয়োজন। আপনার বাড়িতে যদি ছোট শিশু থাকে তাহলে একটু সাবধান। আপনার ভুলে ভ্যাপসা অসহ্যকর গরমে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ সবাই। সেই তালিকায় শিশুরাও বাদ নেই। শিশু যদি অতিরিক্ত ঘামে তাহলে জল শূন্যতায় ভুগতে পারে। পাশাপাশি কমে যাবে প্রস্রাবের পরিমাণ। শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। এছাড়াও এই গরম আবহাওয়ায় জ্বর, বমি, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। আসলে বড়দের তুলনায় শিশুদের শরীর দ্রুত জলশূন্য হয়ে পড়ে। তাই শিশুদের যত্নে একটু বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন।
(১) শিশুর ঘুমানোর সময় বিছানায় চাদর কিংবা কাঁথা বিছিয়ে দেবেন। এর ফলে ঘাম দ্রুত শুকিয়ে যাবে,
তোশক ব্যবহার করলে গরম আর অস্বস্তি আরো বাড়তে পারে।
(২) বাইরে বেরোলে শিশুরা তৃষ্ণা মেটাতে নানান ধরনের ঠান্ডা পানীয় কিংবা আইসক্রিমের বায়না করে। শিশু চাইলেই যে দিতে হবে এমনটা নয়। তাকে ভালোভাবে বোঝান। তীব্র গরমে এই ধরনের খাবার শিশুর শরীর অসুস্থ করে দেবে। হতে পারে বমি কিংবা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা। এর পরিবর্তে তাজা ফলের জুস দিতে পারেন।
(৩) শিশু যে ঘরে ঘুমায় কিংবা সারাক্ষণ খেলা করে সেই ঘর যেন ঠান্ডা এবং আরামদায়ক হয়। নিশ্চিত করতে হবে ঘরে বাতাস চলাচলের বিষয়টি। ঘর ঠান্ডা রাখতে ঘরের মধ্যে গামছা কিংবা তোয়ালে ভিজিয়ে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।
(৪) শিশুরা সাধারণত জল নিয়ে খেলা করতে একটু বেশি ভালোবাসে। তার উপর গরম। তাই শিশুদের একটু খেয়াল রাখবেন। তীব্র গরমে বারংবার জল নিয়ে খেলা করলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
(৫) শিশুর শরীর কখনোই জলশূন্য হতে দেওয়া যাবে না। খুব ছোট শিশু যারা বুকের দুধ পান করে তাদের ঘন ঘন বুকের দুধ দিতে হবে এবং একটু বড় শিশুদের ঘন ঘন জল খাওয়াতে হবে। কিন্তু জোর করলে হবে না। এক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে।
(৬) শিশুর পোশাক হবে পাতলা সুতির ঢিলেঢালা। যা দ্রুত শরীর থেকে ঘাম শুষে নেবে।
(৭) যদি দেখেন প্রচণ্ড গরমে শিশু শরীরে ঘামাচি বা চামড়ার উপর লাল দানার মত ফুসকুড়ি হয়েছে, তাহলে শিশুকে অবশ্যই পরিষ্কার রাখুন। শিশুকে নিয়মিত স্নান এবং পরিষ্কার জামা পরাতে হবে। ফুসকুড়ির জায়গা গুলিতে বেবি পাউডার ব্যবহার করতে পারেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
(৮) এই গরমে আপনার ছোট্ট সোনার চুলের দিকেও নজর দিতে হবে। কারণ গরমে চুলের গোড়া ঘেমে যায়। যার কারণে ধুলোবালি বসে এবং জীবাণু সংক্রমণ করতে পারে। গরমে শিশুর চুল ছেঁটে ছোট করে দিন। যদি দেখেন শিশু বারবার ঘামছে তাহলে ঘাম মুছে দিতে হবে। শরীরে ঘাম শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা লাগতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম