।। প্রথম কলকাতা ।।
G20 Summit 2023: ভারত (India) আর বাংলাদেশের (Bangladesh) মধ্যে যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক, তবে তিস্তা চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটু চাপানউতোর রয়েছে। এবার সেই তিস্তা চুক্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন (AK Abdul Momen)। ভারতে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী আব্দুল মোমেন। ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ভারতের অনুষ্ঠিত জি-২০ গোষ্ঠী ভুক্ত বিদেশ মন্ত্রীদের এই সমাবেশে একে আব্দুল মোমেন যোগ দেন। সেখানেই তাঁর গলায় দেখা গেল ক্ষোভের সুর। নাম না করে তিনি তিস্তা চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের একটি সভায় তিনি জানান, “ভৌগলিক কারণে আমরা প্রকৃতি ও নদীর সুবিধা ভোগ করতে পারি, কিন্তু অন্য দেশকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করাটাও অনুচিত”। পাশাপাশি আরো জানান “প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো সমৃদ্ধ হলে তার নিজের দেশেরও লাভ। তাঁর এই বক্তব্য স্পষ্ট ভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে, তিনি তিস্তার জলের ন্যায্য ভাগের দাবি চাইছেন। সন্ত্রাসবাদীর প্রসঙ্গে জানান “সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে কঠোর বাংলাদেশ। তাদের ভূখণ্ড থেকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতাকে বরদাস্ত করে না বাংলাদেশ”।
তিস্তার জল নিয়ে দুই দেশের টানাপোড়েন বহুদিনের। তিস্তা নদীর অবস্থা দেখতে বারংবার এই দেশ থেকে কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রকের দল গিয়েছে। দুই দেশের এই সমস্যা অবসানে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দেখা হয়। ভারত-বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যাতে বিষয়টি সমাধান করা যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিস্তা চুক্তি হয়ে ওঠেনি। অবশেষে বিষয়টি কূটনৈতিক তথা রাজনৈতিক মর্যাদার একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের যুক্তি অনুযায়ী, গ্রীষ্মকালে তিস্তার জল থাকে মাত্র এক ষষ্ঠাংশ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ধান চাষীদের অন্যতম ভরসার জায়গা ওই জল। অপরদিকে বর্ষাকালে নদীর দুই কুল ছাপিয়ে যায়। গত বছর বৈঠকে বসেছিল ভারত বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন। যেখানে দুই দেশের মধ্যে বহমান ৫৪ টি নদীর মধ্যে কিছু অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সমস্ত বিষয়গুলি সমাধানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিস্তার জট খোলা হয়নি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম