।। প্রথম কলকাতা ।।
Bengaluru: সোমবার কর্নাটকে (Karnataka) এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। শিক্ষকের মারধরে মারা গিয়েছে এক ১০ বছর বয়সী শিশু। শুধু মারধরই নয়, চতুর্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রকে স্কুলের প্রথম তলার বারান্দা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শিক্ষক। NDTV সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের হাগলি গ্রামের আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Adarsh Primary School) শিক্ষক মুথাপ্পা বেলচা দিয়ে ভরত নামের ওই ছেলেটিকে মারধর করেন।
Gadak জেলার সিনিয়র পুলিশ অফিসার শিবপ্রকাশ দেবরাজু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কিছু সমস্যা রয়েছে’। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুথাপ্পা ভরতের মা গীতা বারকারকেও মারধর করেছেন। যিনি স্কুলের একজন শিক্ষিকাও। স্থানীয় এক হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন ওই ব্যক্তি। গত সপ্তাহে দিল্লির একটি স্কুল এরকমই একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। রেগে গিয়ে শিক্ষিকা পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কাঁচি দিয়ে আক্রমণ করেন এবং সরকারি স্কুল ভবনের দোতালা থেকে ফেলে দেন। ক্রাফট ক্লাস চলাকালীন ওই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে যে, শিক্ষিকা সকল পড়ুয়ার সঙ্গে নিজেকে একটি ক্লাস রুমে বন্ধ করে নেন। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর চুল কেটে দেন এবং বারান্দা থেকে ফেলে দেন তাঁকে। স্কুলের অন্য শিক্ষিকা গীতা দেশওয়াল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। তবে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান চিকিৎসকরা। তাঁর গালের হাড় ভেঙে গিয়েছে এবং পড়ে গিয়ে মাথা ও পাও ভেঙ্গে গিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শিক্ষিকাকে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কর্নাটকে চতুর্থ শ্রেণীর এই ছাত্রকে বাঁচানো যায়নি এবং শিক্ষকও নিখোঁজ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম