।। প্রথম কলকাতা ।।
IAS Officer Tapasya Parihar: ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে চেয়েছিলেন যাতে চাকরিটা টিকে যায়। শিক্ষক হয়ে ঘুষ দিতে গেলেন আইএএস অফিসারকে! এখন সোজা জেলে। প্রায় সময় ঘুষ দেওয়া-নেওয়ার কথা কানে আসে। কিন্তু ঘুষ দিতে গিয়ে পাকড়াও হয়েছেন, এমন ঘটনা কটা শুনেছেন? আজ্ঞে হ্যাঁ। জানলে চমকে যাবেন, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। অভিযুক্ত মহিলা আইএএস অফিসারের সততা কিনতে চেয়েছিলেন টাকা দিয়ে। তিনি বুঝতেই পারেননি, কার কাছে অন্যায় আবদার করে ফেলেছেন । ঘুষের প্রস্তাব দিতেই কড়া হাতে দুর্নীতিবাজ সরকারি শিক্ষককে দিলেন ভালই টাইট। ইনি আইএএস তপস্যা পরিহার। এনার নাম আগেও খবরের শিরোনামে এসেছে। যিনি নিজের বিয়েতে কন্যাদান করাননি। কৃষক পরিবারের এই মেয়ে এখন দেশের গর্ব।
তপস্যা পরিহার ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া শিক্ষককে সোজা পুলিশের হাতে তুলে দেন। আসলে ঘটনাটা কি? যা নিয়ে এত হইচই! তবে শুনুন, নির্বাচনের সময় কাজে গাফিলতির অভিযোগে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছিলেন। সেই স্থগিতাদেশ থেকে কাজে পুনর্বহাল হওয়ার জন্য ওই শিক্ষক তপস্যা পরিহারের কাছে যান এবং ৫০ হাজার টাকার ঘুষের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি বুঝতেও পারেননি তার সাথে ঠিক কি হতে চলেছে। এই পুরো ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছতারপুরে।
জানেনই তো, ইউপিএসসি পরীক্ষা দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষাগুলোর মধ্যে একটা। খুব কমজনই আছেন যারা প্রথম কিংবা দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টাতেই সফল হন। এই সফলতার জন্য দিনরাত তপস্যাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। যখন মেয়ে বলেছিল “বাবা আমি ইউপিএসসি প্রস্তুতি নেব”, তখন বাবা আটকাননি। মেয়েকে পুরোপুরি সমর্থন করেন। সত্যি বলতে গেলে, তপস্যার জীবন জয়ের গল্প আর পাঁচজন আইএএস অফিসারের থেকে অনেকটাই আলাদা। একেবারেই সাদামাটা কৃষক পরিবারের মেয়ে। কাকা একজন সমাজকর্মী। প্রথম থেকেই কাকার থেকে পেয়েছেন প্রচুর সাপোর্ট। বিয়ে করেছেন আইএফএস অফিসার গর্বিত গাংওয়ারকে। তপস্যা সেই মেয়ে, যিনি বিয়ের মন্ডপে সোজা নাকচ করে দেন কন্যাদান। বাবাকে বলে দেন, “আমি দান করার কিছু নই। আমি তোমার মেয়ে বাবা। আমি সবসময় তাই থাকবো। বিয়ের পর এক হয়ে যাচ্ছে দুই পরিবার। এখানে দানের প্রসঙ্গ কেন?” দেখুন হিন্দু সংস্কৃতিতে বিয়ের আচার অনুষ্ঠানে কন্যাদানের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তপস্যা ছোটবেলা থেকেই মনে করতেন, কিভাবে তার বাবা তাকে কাউকে তাকে দান করে দিতে পারে? তাও আবার তার ইচ্ছা ছাড়া। বিষয়টি নিয়ে তিনি তার দুই পরিবারের সদস্যের সঙ্গে আলোচনাও করেন। এতে বরপক্ষ রাজী হয়। কন্যাদান ছাড়াই সম্পন্ন হয় বিয়ে।
তপস্যা ২০১৮ ব্যাচের আইএএস অফিসার। মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। তারপর ইন্ডিয়া ল সোসাইটি কলেজে পড়াশুনা শেষে ইউপিএস এর জন্য প্রস্তুতি নেন। পড়াশোনার জন্য দিল্লিতে থেকেছেন প্রায় আড়াই বছর। দ্বিতীয় চেষ্টায় সাফল্য পান। দেশের মধ্যে পান ২৩ তম স্থান। জানলে আরো অবাক হবেন, ইনি কোনো কোচিং নেননি। সম্পূর্ণ ভরসা রেখেছিলেন নিজের উপর। আসলে কি বলুন তো, জীবনে বড় হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রম খুব দরকার। এটাই সফলতার মূল মন্ত্র।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম
https://www.facebook.com/100069378195160/posts/702427228746544/? ibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz