।। প্রথম কলকাতা ।।
Tsai-McCarthy Meeting: চীনের কোন হুঁশিয়ারিকেই পাত্তা দিলেন না তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। এর আগে তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা সামনে আসে তখন চীন রীতিমত চোখ রাঙিয়েছিল। কথার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছিল, যদি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মার্কিন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তাহলে ফল ভালো হবে না। এক্ষেত্রে লঙ্ঘন হবে দুই দেশের চুক্তি। চীনের (China) হুঁশিয়ারিকে একেবারেই পাত্তা দিলেন না তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং -ওয়েন (Taiwan’s president Tsai Ing-wen) । তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির (US House Speaker Kevin McCarthy) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
লাতিন আমেরিকার দুই দেশ সফর করে যুক্তরাষ্ট্রে এসে যাত্রা বিরতি নিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালে স্বাগত জানান বহু মানুষ। অপরদিকে চীনপন্থী বিক্ষোভকারীরা ভিড় করে এক চীনের স্লোগান দেন। চীন আগে থাকতেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, যদি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কোন ধরনের বৈঠক করে তাহলে তার পরিণতি খুব একটা ভালো হবে না। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন স্পিকারের বৈঠকের ফলে লঙ্ঘন হতে পারে চীন নীতির। যদিও তখন মার্কিন স্পিকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই বৈঠকের ফলে চীন নীতির কোন রকম লঙ্ঘন ঘটবে না। চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতির কথা বললেও বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি ম্যাকার্থি। এই প্রথম নয়, গত বছরেও চীন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে হুমকি দিয়েছিল, তখন তিনি চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফর করেন। সেই প্রতিবাদে চীনা সামরিক বাহিনী বেশ বড়সড় সামরিক মহড়া চালায় তাইওয়ান প্রণালীর কাছে। যার জল গড়িয়েছিল তাইওয়ান আর চীনের যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যন্ত।
৫ ই এপ্রিল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে সিমি উপত্যকা রোনাল্ড রিগ্যান লাইব্রেরিতে দুজনে রুদ্ধ দ্বার বৈঠক করেন। ১৯৭৯ সালের পর এই প্রথম তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বৈঠক করলেন। ম্যাকার্থি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে আমেরিকার অন্যতম বন্ধু বলেছেন। পাশাপাশি তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন যাতে গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দুই দেশ একযোগে কাজ করতে পারে। বৈঠক শেষে তিনি জানান যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে সব ধরনের সহায়তা করবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম