।। প্রথম কলকাতা ।।
Imran Khan: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছিল জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা। এবার সেই পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ দিল লাহোরের আদালত (Lahore High Court)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ইমরানের জামান পার্কের বাড়ি ঘিরে ছিল পাক রেঞ্জার্স বাহিনী সহ লাহোর পুলিশ। বুধবার দুপুরে আদালতের স্থগিতাদেশের পর তারা সেই স্থান থেকে সরে গিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই গোটা বিশ্বে আলোচনা বিষয়বস্তু গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ইমরান খানের গ্রেফতারি পরোয়ানা। তোষাখানা দুর্নীতি মামলা এবং মহিলা বিচারক ও দুই পুলিশ আধিকারিককে হুমকি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকে বাড়ি ঘিরে ফেলে পাক রেঞ্জার্স বাহিনীসহ লাহোর পুলিশ। যদিও তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে তৈরি হচ্ছিল নানান প্রশ্ন। কেউ বা বলছিলেন তিনি কোন আত্মীয়র বাড়িতে চলে গিয়েছেন, আবার কেউ বা মনে করছিলেন তিনি ইচ্ছাকৃত কোথাও গা ঢাকা দিয়েছেন। অবশেষে বুধবার দুপুরে লাহোরের আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ দিতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন তিনি। এই সংবাদে অত্যন্ত খুশি তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থকরা। অন্তত কয়েক হাজার সমর্থক ইমরান খানের জামান পার্কের বাড়ির সামনে জমায়েত হয়ে উৎসব শুরু করে দিয়েছে।
তোষাখানা মামলার শুনানিতে তিনি হাজিরা দেননি। তাই মঙ্গলবার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ইমরানের বিরুদ্ধে একটি পৃথক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ১৮ই মার্চের মধ্যে ইমরান খানকে গ্রেফতার করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবার অপরদিকে একজন মহিলা বিচারক এবং দুই পুলিশ অধিকারিককে নাকি হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান খান। তাই সোমবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ জেলা ও দায়রা আদালত জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
পাকিস্তানের পরিস্থিতি যে ঠিক কতটা টালমাটাল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থনৈতিক দিক থেকে দেশটির ধুঁকছে। তার উপর একটার পর একটা অভ্যন্তরীণ সমস্যা লেগেই রয়েছে। গত মঙ্গলবার ছিল টানটান উত্তেজনায় পূর্ণ। ইমরান খানের বাড়ি গিয়েছিল তাঁর অসংখ্য অনুগামী। যাদের সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে সংঘর্ষ বাঁধছিল পুলিশ এবং রেঞ্জার্সদের। অবশেষে অনুগামীদের সরিয়ে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির দরজায় পৌঁছালেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ইমরানের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস থেকে শুরু করে লাঠির, জলকামান প্রভৃতি ব্যবহার করতে হয়েছে। এক টুইট বার্তা ইমরান খান জানিয়েছেন, “পুলিশ ভাবছে আমাকে জেলে পাঠালে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে কিন্তু তা হবে না। আমার মৃত্যু হলেও এই লড়াই আপনারা থামাবেন না” তিনি চান এই লড়াই ততদিন পর্যন্ত চলুক যতদিন পর্যন্ত পাকিস্তানে একনায়কতন্ত্র থাকবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম