।। প্রথম কলকাতা ।।
International Yoga Contest: ফের মুখ উজ্জ্বল করল বাংলার সোনার মেয়ে। একসঙ্গে জিতে নিল তিন তিনটি সোনার পদক। দুবাই আন্তর্জাতিক যোগাসনে মিলল চোখ ধাঁধানো সাফল্য। অসাধারণ নজির বাংলার সুস্মিতার। তার হাত ধলে ফের ভিক্টি স্ট্যান্ডে বাংলা। চলতি মাসের ২৫ থেকে ২৭ শে জুন দুবাইতে বসেছিল তৃতীয় এশিয়ান যোগাসন স্পোর্টস কাপ প্রতিযোগিতার আসর। আন্তর্জাতিক স্তরে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এর রাজ্যের ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের ছাত্রী সুস্মিতা দেবনাথ। প্রতিযোগিতায় ট্রাডিশনাল রিদিমিক ও আর্টিস্টিক বিভাগে সোনার পদক জিতলেন তিনি। তার সাফল্যে খুশি গোটা বাংলা। গত বছর আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য এসেছিল এই মেয়ের হাত ধরেই। সুস্মিতার সাফল্যে রীতিমতো জয়জয়কার পরে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়ন্স বিভাগে ফার্স্ট রানারআপও হন তিনি।
এর আগে গতবছর ন্যাশনাল যোগাসন প্রতিযোগিতায় তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সুস্মিতা। অটিস্টিক বিভাগে সোনা ট্রাডিশনাল বিভাগের উপর এবং আটিস্টিক বিভাগে ব্রাঞ্চ পদক জিতেছিলেন সুস্মিতা দেবনাথ। উত্তরাখন্ডে ওয়ার্ল্ড ফিটনেস ফেডারেশন সেই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সুস্মিতা হাওড়ার উদয়নারায়নপুরের কলেজের ছাত্রী। তিনি এর আগে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে সাফল্য পেয়েছেন। এবার আন্তর্জাতিক স্তরেই সাফল্য পেয়ে অসাধারণ নজির গড়লেন। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সুস্মিতা। ছোটবেলা থেকেই যোগাসনে আগ্রহী। দশ বছর বয়স থেকে নিয়মিত যোগাভ্যাস শুরু করেন তিনি। নিজে যোগাসন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ছোটদের যোগাসন শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছেন সুস্মিতা। ছোটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ফলে নিজেও উন্নতি করতে পারছেন। এরফলেই আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য এল।
সুস্মিতার ছোট থেকেই যোগাসনে ঝোক। তাকে বাড়ির লোকজন কোনো দিন বাঁধা দেননি। সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছাতেই এই সাফল্য লাভ করেছেন। নিজের সাফল্যের পর দুবাই থেকে সুস্মিতা জানান যোগাসন কে নিয়েই আগামী দিনে পথ চলবেন তিনি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগাসনকে প্রাপ্ত এক জীবনের অভ্যাসে পরিণত করেন সুস্মিতা। আর সেই অভ্যাস ও কঠোর অধ্যাবসায়ের জেরেই মাত্র ২১ বছর বয়সে সাফল্যের শিখর ছুঁয়ে ফেললেন এই বঙ্গতনয়া। বর্তমানে গৌরাঙ্গ সরকারের কাছে যোগাসনে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি রাই যোগা একাডেমী নামে একটি যোগাসন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০০ জনকে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম অভ্যাস করাচ্ছেন তিনি।
গত বছর ব্যাংকক এ আয়োজিত আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় দুটো সোনা ও একটি রুপোর পদক জিতেছিলেন বাংলার মেয়ে প্রিয়ঞ্জনা জানা। আর সেই সাফল্যের পর এই বছর আরও এক সাফল্য। প্রসঙ্গত নিয়মিত সুস্থ থাকার ক্ষেত্রেও যোগাসনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। গোটা দেশ তথা সারা বিশ্ব জুড়ে বহু মানুষ নিয়মিত যোগাসন অভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত। তবে সুস্মিতার এই সাফল্যে তার পরিবার-পরিজন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সহপাঠীরা উচ্ছ্বসিত। প্রথম বাংলার পক্ষ থেকেও সুস্মিতাকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম