।। প্রথম কলকাতা ।।
উপসাগরে আরও পাওয়ারফুল ইরান, ঘাম ছুটছে যুক্তরাষ্ট্রের। যুক্তরাষ্ট্রকে তাক করে থাকবে সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল? সুপারসনিক গতিতে উড়ে যাওয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকানো কিন্তু কঠিন। সুপারসনিক কী? পশ্চিমাদের শায়েস্তা করতে নতুন করে শক্তির প্রমাণ। বড় চাল চেলে দিল তেহরান। ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নয়া মোড়। পাল্টা দিতে কোন পথে হাঁটবে যুক্তরাষ্ট্র? রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইরান।
এবার শব্দের চেয়েও দ্রুতগতির সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র আসছে ইরানের হাতে। যা ডিজাইন করেছে তেহরান নিজেই। নিজেদের প্রযুক্তি এবং ডিজাইনের তৈরি এই মিসাইল সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতিতে ছুটতে পারবে। সুপারসনিক গতিতে উড়ে যাওয়া এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকানো কিন্তু ভীষণ কঠিন। কিন্তু সুপারসনিক বলতে ঠিক কী বোঝাচ্ছে? এয়ারক্র্যাফ্টের গতি বায়ুতে শব্দের গতির থেকে বেশি হলে, ম্যাক নম্বর 1 < M < 3 হলে সেই এয়ারক্র্যাফটের গতিকে সুপারসনিক বলে। ইরানের নতুন প্রজন্মের এই প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো বলে দাবি করছে তেহরান। এতদিন অবধি ইরানি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণের জন্য একটি রকেট-সহায়ক টেকঅফ বা রাটো ইঞ্জিনের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু এবার ‘তুলু’ বা সানরাইজ নামে একটি টার্বোজেট ইঞ্জিন ডিজাইন করা হয়েছে। যা আরও বেশি সুবিধাজনক।
মনে করিয়ে দিই, ইরানের সামরিক বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়াররা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজস্ব সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত দিকের খুঁটিনাটি পরীক্ষা চালাচ্ছে তাঁরা। যা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলছে। গত জুন মাসে ইরান তার প্রথম হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে যা রাডার এড়াতে এবং যেকোনো প্রতিরক্ষা ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আঞ্চলিক জলসীমায় সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে তেহরান ও ওয়াশিংটনের চলমান উত্তেজনার মাঝে ইরান এবার তার অত্যাধুনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়টা ঘোষণা করল।
যা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্যালপিটেশন বাড়াচ্ছে। মাত্র দুদিন আগেই, উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ৩০০০ মেরিন সেনা সহ যুদ্ধজাহাজ এর এক বিশাল বহর পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থ রক্ষায় অবিচল। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ইরান আন্তর্জাতিক নৌ চলাচলে অবৈধভাবে নাকি বাধা সৃষ্টি করছে। সেক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে এমন পদক্ষেপ করলো যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ইরান এটিকে এক ধরনের উস্কানি হিসেবেই দেখছে। তারা কী বলছে? জানিয়েছে তেহরান তাদের মতো করে উপসাগরে নিরাপত্তার দিকটি দেখবে। সেক্ষেত্রে ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষার পর্যায়ে থাকলেও, খুব শীঘ্রই যে খেল দেখাবে ইরান। তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম