।। প্রথম কলকাতা ।।
India-Pakistan War: ৫২বছর হতে চলেছে ১৯৭১ এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। এটি ছিল সেই যুদ্ধ যা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন উভয় দেশের সামরিক সক্ষমতা। সেদিনই বোঝা গিয়েছিল কার দৌড় কতটা বেশি। এই যুদ্ধে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) ভূমিকা ছিল স্মরণীয়।
১৯৭১, এটি সেই বছর যা পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায়। সে বছর ডিসেম্বরের ঠান্ডা মৌসুমে পাকিস্তানে তাপমাত্রা বেশি ছিল। যেখানে প্রায় এক লাখ পাকিস্তানি সৈন্য ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশে। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে পরাজয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। এই যুদ্ধে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) তৎপরতা আজও পাকিস্তানকে রাতে শান্তিতে ঘুমাতে দেয় না। এমন এক সময়ে যখন ভারতের কাছে খুব একটা উন্নত প্রযুক্তি ছিল না, তখনও পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের (PAF) জেট ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছিল ভারত। পাকিস্তান কিন্তু তখন আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সমর্থন পেয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি।
১৯৭১, ১২ ডিসেম্বর, পাকিস্তান বিমান বাহিনী গুজরাটের জামনগরে একটি আইএএফ ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা শুরু করে। সেদিন দুপুর ২টোর দিকে আকাশে দুই শত্রুর মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। এটি ছিল একটি সংঘাত যা বিমান সেক্টরে ঐতিহাসিক বলে বিবেচিত হয়। ভারতের MiG-21 FL গুলি করে নামায় পাকিস্তানের F-104A স্টার ফাইটারকে। আজও এটিকে বিশ্বের সেরা সুপারসনিক অ্যাকশন বলে মনে করা হয়। ভারত ভূষণ সোনি ব্ল্যাক আর্চার নামে পরিচিত বিমানবাহিনীর ৪৭ নং স্কোয়াড্রনের অংশ ছিলেন। সোনি সেদিন ছিলেন কমব্যাট এয়ার টহলে। হামলার ঘটনা ঘটলেই তারা হামলা বন্ধের নির্দেশ পায়। সোনি স্টার ফাইটারদের একজনকে টার্গেট করেছিলেন এবং এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে আক্রমণ করেন। তবে তার একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বাদ পড়ে। কিন্তু আতঙ্কিত না হয়ে, নিজের বন্দুক দিয়ে কাথিয়াওয়ার উপকূলে পাকিস্তানি জেটকে গুলি করে নামিয়ে দেন। পরবর্তীকালে সোনি বীর চক্রে ভূষিত হন।
শোনা যায়, সেদিনের যুদ্ধে শত্রু পাইলটকে হাঙর-আক্রান্ত জলে প্রাণ দিতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এয়ার এবং সি রেসকিউ পরে তাকে সনাক্ত করতে পারেনি। পাকিস্তানি বিমানটি তাদের অন্যতম সেরা পাইলট উইং কমান্ডার মারভিন লেসলি মিডলকোট পরিচালনা করছিলেন। হামলার পর তিনি উড়াল দেন। সোনি তাকে প্যারাসুট থেকে বেরিয়ে আসতে এবং আরব সাগরে পড়ে যেতে দেখেছেন। কথিত আছে, আরব সাগরে যে জায়গায় তার প্যারাসুট পড়েছিল সেখানে হাঙর ছিল। সোনিও একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানোর জন্য আইএএফ-এর সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু দেহাবশেষ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পাকিস্তান সরকার এখনও তাকে নিখোঁজদের তালিকায় রেখে দিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম