।। প্রথম কলকাতা ।।
Suicide Plant: একে বলা হয় ‘সুইসাইড প্ল্যান্ট’ হ্যাঁ, একদম ঠিকই শুনেছেন। এটি একটি গাছের নাম। কেউটে-গোখরোর থেকেও বিষাক্ত এই গাছ। একবার ছুঁলেই সর্বনাশ! গাছটির নাম ‘জিমপাই-জিমপাই’। কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে এই গাছ জানেন? আপনার বাড়ির আশেপাশে নেই তো এই মারণ গাছটি? কেন ওই গাছটিকে সুইসাইড প্লান্ট বলা হয়? কেমন দেখতে হয় গাছটি ? চিনে নিন
বৈচিত্র্যময় প্রাণীজগত! প্রতিটা বাঁকে, আনাচেকানাচে কত না রহস্য! পৃথিবীতে প্রায় এক মিলিয়ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। তার মধ্যেই এমন কিছু গাছ রয়েছে যা জীবজন্তুদের জন্য অত্যন্ত বিষাক্ত। এমনই একটি গাছ হল জিমপাই-জিমপাই। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম এই গাছটি দেখা যায়। গাছটির কোনও অংশ একটু ছুঁয়ে দিলেই সর্বনাশ! বিষক্রিয়া এতটাই তীব্র যে মানুষ মৃত্যুভিক্ষা করবেন। এই কারণেই গাছটিকে ‘সুইসাইড প্লান্ট’ বলা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের জঙ্গলে কাজ-করা কাঠুরেদের জন্য জিমপাই সাক্ষৎ মৃত্যু! ১৮৬৬ সালে প্রথম এই গাছের সন্ধান মেলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বহু সেনা অফিসার এই গাছের শিকার হন এবং ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে শেষ পর্যন্ত নিজেরা আত্মহত্যা করে নেন। যারা বেঁচেছিলেন তাঁরা বহু বছর ব্যথায় আক্রান্ত ছিলেন। এরপরেই এই গাছটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা শুরু হয় এবং একে সুইসাইড প্লান্ট বলে তকমা দেওয়া হয়। নিয়ম করে দেওয়াহয়, জঙ্গলে কাঠ কাটতে যাওয়া কাঠুরেদের সঙ্গে রাখতে হবে রেসপিরেটর, মেটাল গ্লাস এবং অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট।
কেমন হয় গাছটিতে টাচ করলে?
এই গাছ এতটাই বিষাক্ত, যেতে হাত দেওয়া মাত্র শুরু হয় তীব্র জলুনি, সেইসাথে মাংসপেশিতে প্রবল টান অনুভব। ব্যথা এতটাই বেড়ে যায়, যে রাতের পর রাত কাতরাতে হয়। পাশাপাশি লিম্ফ গ্ল্যান্ড-ও ফুলে যেতে পারে। জিমপাই -জিমপাই এর বায়োলজিক্যাল নাম ড্রেনডোকুইনাইড মরওইডস। এটি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব রেন ফরেস্টে পাওয়া যায়।গাছের গায়ে রোয়াঁর মতো সূক্ষ্ম তন্তু রয়েছে। কাঁটায় ভরা এই গাছে নিউরোট্রক্সিন বিষ থাকে যা কাঁটার মাধ্যমে শরীরের ভেতরে পৌঁছে যায়। নিউরোটক্সিন সেই বিষ যা সোজা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের উপর প্রভাব ফেলে। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কাঁটা লাগার প্রায় আধঘন্টা পর ব্যথার তীব্রতা বাড়তে শুরু করে এবং লাগাতার বাড়তে থাকে। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে গোটা শরীরে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে মহা বিপদ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম