।। প্রথম কলকাতা ।।
Stomach Problems in Summer: বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গনগনে রোদ। অস্বস্তিকর পরিবেশ। এই ভ্যাপসা গরমে পেটের অসুখ(Stomach Problems) লেগেই রয়েছে। সাধারণত খুব গরম পড়লে একটু চড়া মশলা জাতীয় খাবার কিংবা উল্টোপাল্টা খেলে হজমে নানান সমস্যা দেখা দেয়। পেটের গোলযোগে অনেকেই ভোগেন। এই সময় পেট ঠান্ডা রাখা অত্যন্ত দরকার। গরম মানেই এক অস্বস্তিকর পরিবেশ। তার মধ্যে যদি শরীর খারাপ হয় তাহলে তো কথাই নেই। সারাদিনটাই পুরো মাটি। গরমে পেট ঠান্ডা রাখা একেবারেই কঠিন কাজ নয়। হাতের কাছে থাকা কয়েকটা তাজা ফল(Fresh Fruits) দিয়েই আপনি শরীরের চাঙ্গা রাখতে পারেন।
(১) প্রতিটি ঋতুতেই তাজা ফল খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শসা ও পেঁপে খেলে শরীরে শীতলতা পাওয়া যায় এবং জলের অভাব পূরণ হয়। পেঁপে এবং শসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের পিএইচও সুস্থ রাখে। গরমে গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলেও শসা ও পেঁপে খাওয়া উপকারী।
(২) ডাবের জলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি, যা শরীরে জলের অভাব দূর করে। পারদ বাড়লেও শরীর অভ্যন্তরীণ শীতলতা পায়। ডাবের জলে শরীরকে ডিটক্সিফাই করার বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ফাইবারের গুণ, যা হজমশক্তি ভালো রাখে।
(৩)তরমুজ গ্রীষ্মের মোরসুমি ফল। তরমুজ খাওয়া পেটের জন্য উপকারী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার অ্যাসিড রিফ্লাক্স বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তরমুজ তীব্র গরমে অনেক ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান শরীরে সরবরাহ করা হয়। একই সঙ্গে গরমের কারণে শরীরে জলের অভাবও দূর করে তরমুজ। এটি খেলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
(৪)গরম বাড়লে প্রতিদিন একটি পাকা কলা অবশ্যই খেতে হবে। কলা খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। কলায় আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফাইবারের গুণ রয়েছে। ফাইবার হজমের সমস্যা দূর করে, অন্যদিকে পটাসিয়াম অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে।
(৫) গরমে প্রতিদিন দই খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে। দই ফাইবার সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং হজমের উন্নতি করে। অ্যাসিডিটি ও বদহজমের সমস্যাও দূর হয়ে যায় দই ব্যবহারে। অন্যদিকে ঠাণ্ডা দুধ পান করলে পেটে শীতলতা আসে। জ্বালাপোড়া, অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় না। ঠাণ্ডা দুধ পান করা মানে সাধারণ দুধ পান করা, ফ্রিজে রাখা দুধ পান করা নয়।
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে কিংবা অন্যান্য শারীরিক জটিল সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ফল বা দই খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।