।। প্রথম কলকাতা ।।
Knee Pain: হাঁটু ব্যথার খুব কষ্ট পাচ্ছেন। নিয়মিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই খান পেইন কিলার। এসব প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে যে বিপদ সেটা কি জানেন। কারণ এভাবে ওষুধ খাওয়ার দরুন আপনার শরীরে একাধিক রোগব্যাধি হামলা চালাতে পারে। তাই ওষুধের উপর ভরসা না রেখে কয়েকটি হোম রেমেডিজের উপর বাজি ধরুন। আর এমনই কিছু ঘরোয়া টোটকা নিয়ে আলোচনা করা হবে এই প্রতিবেদনে।
বর্তমানে বয়স মাত্র ৩০ পেরোলেই সঙ্গী হয়ে যাচ্ছে হাঁটুর ব্যথা। আর একবার এই সমস্যার ফাঁদে পড়লেই বেশিরভাগ রোগী পেইনকিলারের উপর ভরসা রাখছেন। যার ফলে বিপদ আরো বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসব ওষুধ বেশি খেলেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা উপর। তাতেই ব্যথা উবে যাবে।
হুট করে হাটু ব্যথা বাড়লে ঠান্ডা গরম সেক দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রথম 5 মিনিট ঠান্ডা সেক দিন। তারপর পাঁচ মিনিট দিন গরম সেক। এভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঠান্ডা গরম সেক দিলে কিন্তু খুব সহজেই জয়েন্টের প্রদাহ কমবে। আর সেই সুবাদে কমে যাবে ব্যথা যন্ত্রণা। নিয়মিত সেক দিলে হাঁটুর ফোলা ভাব কমে। তাই এই নিয়মে হাঁটুতে সেক দেওয়া শুরু করুন তাতে উপকার মিলবে।
একটি লেবু চার ভাগে কেটে নিন। টুকরোগুলো একটি সুতির কাপড়ে বেঁধে গরম তিলের তেলে ডুবি রাখুন। বেদনাদায়ক হাঁটুতে কাপড়টি ৫-১০ মিনিটের জন্য রাখুন। হাঁটুর ব্যথা দূর না হওয়া পর্যন্ত দিনে দুবার এটি করুন।
আদাতে রয়েছে জিনজেরল নামক একটি উপাদান। এই উপাদান প্রদাহ ব্যাথা বেদনা কমাতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন আর্থ্রাইটস যারা ভোগেন তারা আদার কুচি সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা আদা জল দিয়ে গিলে নিন। এর পাশাপাশি আদার পেস্ট বানিয়ে তা ব্যথার জায়গায় লাগাতে পারেন। ক্যাস্টর অয়েল হাঁটুর জয়েন্টের ব্যাথা কমানোর জন্য একটি চমৎকার প্রাকৃতিক সমাধান। তিন টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল গরম করুন এটি একটি পরিষ্কার পাত্রে রাখুন। হাতের তালুতে একটু নিয়ে উভয় হাঁটুতে মৃদু বৃত্তাকারে মালিশ করুন। এটতে হাঁটুর ব্যথা অনেকটাই কমে। তুলসী পাতা কমতে পারে আপনার ব্যাথা।
কিভাবে দেখে নিন। এক কাপ জলে কয়েক মিনিট কয়েকটি তুলসী পাতা দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। প্রায় ১০ মিনিটের মতো ফুটতে দেবেন। একে নিয়ে পান করুন।হাঁটুর ব্যথা উপশম না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ ৪ কাপ তুলসি চা পান করুন। এই সমস্যার সমাধান চাইলে শুয়ে বসে কাটালে চলবে না। তার পরিবর্তে একটু আধটু হাঁটুর ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে ওজন বেশি থাকলে হাঁটুর উপর প্রচন্ড চাপ পড়ে। সেই সুবাদে এই জয়েন্টে প্রদাহ হয়। যার ফলে কিছু নাই অসহ্য ব্যথা। তাই এই সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব ওজন কমানোর কাজে লেগে পড়ুন। এসব ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারের পর ও হাঁটুর ব্যথা না কমলে কিংবা দিন দিন ব্যথা বাড়তে থাকলে যন্ত্রণার জন্য সামান্য হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার কথামতো কয়েকটি টেস্ট করুন তারপর তিনি যেসব ওষুধ দেবেন সেগুলি খেয়ে যান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম