।। প্রথম কলকাতা ।।
Sudan: ক্ষমতা দখলের যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাবে কি সুদান? অনিশ্চয়তার পথে ছুটছে মানুষগুলো, দারফুরের মৃত্যুপুরীর স্মৃতি ফেরার আতঙ্কে ডুবছে আফ্রিকার এই দেশ। মাটি কামড়ে পড়ে থাকা মানুষগুলো এবার কি নিজেদের হাতে অস্ত্র তুলে নেবে? জীবন মৃত্যুর লড়াইয়ে কখনো কি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে সুদান? সুদানের পরিস্থিতি কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে? কিভাবে টিকে আছে মানুষগুলো? অলি-গলি-রাজপথে ওঁৎ পেতে আছে ঝুঁকি। সংঘর্ষ বিরতি উপেক্ষা করেই সুদানে ক্ষমতার লড়াইয়ে সামিল সেনা এবং আধাসেনা। তবে টেনশন কিন্তু বাড়ছে।
সংকট কবলিত দেশটায় চলমান। যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুদানের দারফুরের গভর্নর স্থানীয় মানুষকে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন। নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ বৃদ্ধা নির্বিশেষে সকলের উদ্দেশ্যে অস্ত্র তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের বাসস্থান রক্ষা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেন? কীসের আশঙ্কায় এই নির্দেশ?
দুই দশক আগে, কীভাবে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল দারফুর। গোটা দারফুরকে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত করা হয়েছিল। ২০০৩ সালে আরবের জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্গত জানজওয়াইদ জঙ্গি গোষ্ঠীর যোদ্ধারা দারফুর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। অভিযোগ, এবারেও ওই যোদ্ধারা যোগ দিয়েছে। তাই আতঙ্ক, আশঙ্কা, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়ছে। নতুন করে যেন তেমন পরিস্থিতি তৈরি না হয় তাই, ২০০৩ এর স্মৃতি মনে করিয়ে আগেভাগেই এই নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর। বলা যায়, একরকম প্রিকশন। দেশের সেনাবাহিনীকে সমর্থনের আর্জি জানানো হয়েছে। দারফুরের কথা হচ্ছে। আর খার্তুম?
সুদানে জলের অভাব যুদ্ধের আগে থেকেই প্রকট। তারমধ্যে যুদ্ধের জেরে একের পর এক ক্ষতি হয়ে চলেছে। গৃহযুদ্ধ শুরুর পরপরই দুই বাহিনীর গোলাগুলি-বিমান হামলায় রাজধানী খার্তুমের একমাত্র জল সরবরাহ স্টেশনটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর থেকে একফোঁটা জল পাচ্ছে না প্রায় তিন লাখ মানুষ। অসহ্য গরম, তেষ্টায় প্রাণ যেন যায় যায়। একটু জলের জন্য হাহাকার। তাই, মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে জলের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে স্থানীয় মানুষ।
কখনো দু-একজন, কখনো বড় দলে কেউ ফেরেন জল নিয়ে, কেউ লাশ হয়ে। বলতেই হচ্ছে, যুদ্ধের মধ্যে এই সমস্যা বড় ভোগান্তি যোগ করেছে সুদানবাসীর জীবনে। কবে হাল ফিরবে? না, কেউ জানে না। দুই যুযুধান গোষ্ঠীর যুদ্ধবিরতির চুক্তি শেষ হয়েছে। যাতে ফের নতুন করে লড়াই শুরু না হয় সেই আহ্বানকে উপেক্ষা করেই আবার লড়াই শুরু হয়ে গেছে। নতুন করে বোমা-গুলি-মর্টারের শব্দ শোনা যাচ্ছে। আর সুদান, আরও ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম