।। প্রথম কলকাতা ।।
Myanmar punishment: আবারও সাত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হল মিয়ানমারে। মিয়ানমারের জান্তা সরকার সামরিক আদালতে ওই সাত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাদের ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জান্তা সরকার এ পর্যন্ত ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে জাতিসংঘ।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা। এর পর থেকেই দেশটিতে সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা চলছেই। স্থানীয় এক পর্যবেক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধীদের দমনে সামরিক জান্তার হাতে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২৮০ জন অসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। বন্দি অবস্থায় রয়েছেন ১১ হাজার ৬৩৭ জন।
মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইয়াঙ্গুনভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীদের চলতি বছরের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে একটি ব্যাংকে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। সেই সাতজনকেই মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতি ওই সাতজনের নামও প্রকাশ করেছে। তারা হল-কো খাস্তা জিন উইন, কো থুরা মং মং, কো জাও লিন নায়িং, কো থিহা হতেত জাও, কো হেইন হাট, কো থেত পাইং ওও এবং কো খান্ত লিন মং মং।
ড্যাগন ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিশোধ নিতে সামরিক বাহিনী ছাত্রদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, বুধবার গোপনে সাতজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে সামরিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে মিয়ানমার গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকট সামরিক সরকার সৃষ্টি করেছে। বিরোধী মত দমন করার জন্য রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে মৃত্যুদণ্ড চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সামরিক বাহিনী আসিয়ান দেশগুলোর মতামতকে অগ্রাহ্য করে হিংসা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আন্তর্জাতিক কোনো আইনও তারা মানছে না।
তবে জান্তার মুখপাত্র এএফপির কাছে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। স্থানীয় পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর মতে, সামরিক জান্তার অভিযানে এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৮০ জন সাধারন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১১ হাজার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এই সংকটজনক অবস্হা থেকে মিয়ানমার কবে বেরিয়ে আসতে পারবে সেটাই এখন দেখার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম