।। প্রথম কলকাতা ।।
Stress Cause Diarrhea: টেনশন হলে কি আপনার পটি পায়? অবহেলা করছেন? জানেন কত বড় বিপদ দেখে আনছেন! বহু মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায় টেনশন হলে তাদের পটি পেয়ে যায়। কিন্তু আপনারা কি জানেন এটাও এক ধরনের রোগ, চিকিৎসকদের ভাষায় এই রোগ কে বলা হয় আইবিএস। অনেকেই আছে এই রোগটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। এটি সাধারণ সমস্যা মনে হলেও আসলে কিন্তু তা নয়। এমন পরিস্থিতিতেই সতর্ক থাকা দরকার। আমাদের আশেপাশে আমরা অনেকেই দেখি যারা সামান্য টেনশন হলে বাথরুমে চলে যায়। টেনশনের মুহূর্তে তাদের মন তাকে চাপ চলে আসে। যদিও মন থাকতো একটা সাধারণ বিষয়। আপনারা বলবেন দিনে একবার কি দুবার মলত্যাগ নরমাল হিসেবে ধরা হয়। এই ধরুন অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পরীক্ষা রয়েছে টেনশন হচ্ছে মাথায় চাপ রয়েছে সেই কারণে পটি পাচ্ছে।
আবার কাজের ক্ষেত্রেও তাই। জটিল কাজ দেখলেই পটি পেয়ে যায়। জানেন এই রোগটির সঙ্গে মস্তিষ্কের সম্পর্ক রয়েছে। আসলে আমাদের দুশ্চিন্তা হলে শরীরে কিছু রাসায়নিক নির্গত হয়। এই রাসায়নিকের নাম হল নিউরোট্রান্সমিটার। আইভীর থাকা মানুষের বৃহদন্ত্র খুব সংবেদনশীল। তাই টেনশন হলেই বৃহদন্ত্রে সিগন্যাল পৌঁছে যায়। আর পটি পেয়ে যায়।
আয়ুর্বেদ ভাসায় আবার আইবিএস এর নাম গ্রহণী। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলেন অনিয়মিত খাবার খাওয়া অতিরিক্ত মদ্যপান ব্যায়ামের ঠিক পরে খাবার খাওয়া এমনকি অতিরিক্ত ব্যায়াম কখনো কখনো আইবিএস এর সমস্যা ডেকে আনতে পারে। আইবিএস এর সাধারনত পেটে ব্যথা থাকে সারা পেট জুড়ে কামড়ে ধরা ব্যথা থাকে। চিকিৎসকরা বলে থাকেন এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে লঙ্কার মত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারো লঙ্কার মধ্যে ক্যাপসিসিন থাকে। এই উপাদান অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে। আমার দরুন ফলের মধ্যে পেয়ারা দারুন ফল আমরা জানি কারন পেয়ারাতে ভিটামিন সি ফাইবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তবে আইভিএস রোগে আক্রান্তদের পেয়ারা থেকে দূরে রাখতে হবে।
https://www.facebook.com/100064049016647/posts/802984778513149/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz
আপেলের ক্ষেত্রও তাই। আবার সবজির মধ্যে পটল খেলেও পটলের বীজ ফেলে দেবেন। প্রতিদিন একসময় খাবার অভ্যাস করুন। রাতে খাওয়ার সময় এগিয়ে আনুন। চা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া কমই ভালো। প্রতিদিন কমবেশি ব্যায়াম করুন, পারলে প্রতিদিন হাঁটুন। পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকবে। গমের খাবার থেকেও রোগীকে দূরে রাখতে হবে, তবে হ্যাঁ আবারও আপনাদের বলছি এই রোগ ফেলে রাখা উচিত হবে না। কোন সমস্যা বুঝলে চিকিৎসককে একবার দেখিয়ে নেবেন। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম