।। প্রথম কলকাতা ।।
KKR vs SRH: বড় তারকারা সবসময় বড় মঞ্চেই জ্বলে ওঠে। সেটা আবারও প্রমাণ করে দেখিয়ে দিলেন মিচেল স্টার্ক। বল হাতে আজ সমস্ত বিতর্কের মোক্ষম জবাব দিলেন অজি তারকা। আর তাও আবার এমন একটা ম্যাচে, যেখানে কলকাতার ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এককথায় তার দাপটেই প্রথম থেকেই কোণঠাসা হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইন। আহমেদাবাদে পরপর স্টাম্প ভাঙার শব্দগুলো বোধহয় বঙ্গবাসীও শুনতে পেল এইদিন।
IPL ২০২৪ এর প্রথম কোয়ালিফায়ারের শুরুর থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল স্টার্কের বোলিং লাইন। একবারে বিশ্বকাপের পর্যায়ের বোলিং ছিল তার। প্রথম বলেই দারুণ একটা সুইং পেয়ে গেছিলেন নাইট তারকা। তবে কোনোভাবে উইকেট বাঁচিয়ে নেন হেড। অবশ্য পরেরটাতে আর শেষ রক্ষা হলনা। একেবারে পারফেক্ট সুইং দিয়ে ট্র্যাভিস হেডের উইকেটটি তুলে নিলেন স্টার্ক। আর তার ঠিক পরের ওভারেই অভিষেক শর্মার উইকেট গেল বৈভব আরোরার বলে। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই উড়ে গেল বিধ্বংসী ‘ট্র্যাভিষেক’ জুটি। হায়দরাবাদের মনবল তো সেখানেই ভেঙে গেছিল।
তবে স্টার্ক ম্যাজিক এখানেই শেষ নয়। একদম ছকে ফেলা বলে নীতীশ কুমার রেড্ডি ও শাহবাজ আমেদকেও ফেরালেন তিনি। ১১ টা ডট বল আর ৮.৫ ইকোনমিক রেটের সাথে দুর্ধর্ষ ইনিংস খেললেন মিচেল স্টার্ক। সবে মিলিয়ে ৪ ওভারে ৩৪ বল দিয়ে হায়দরাবাদের সেরা ৩টি উইকেট স্টার্কের নামে। রাহুল ত্রিপাঠির উইকেটটা চলে এলে সংখ্যাটা চারও হতে পারত। এককথায় বলা যায়, এই কোয়ালিফায়ার ম্যাচে নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন মিচেল স্টার্ক।
যদিও একটা সময় তাকে নিয়ে কম বিতর্ক তো হয়নি। সাফল্যের ঝুলিতে দু’দুটো ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি থাকা সত্ত্বেও প্রতিটা মূহুর্তি বিদ্রুপ সহ্য করতে হচ্ছিল তাকে। কারণ একটাই, উইকেট তো আসছিলই না, এমনকি তার বলে রানও আটকাচ্ছিলনা। উঠতি প্লেয়াররাও চার ছক্কা হাঁকাচ্ছিল বিশ্বসেরা স্টার্কের বলে।
শুধু কি তাই? সেই সাথে ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার বিপুল প্রাইস ট্যাগের বোঝাটাও বা কম কিসের। প্রথম দুই ম্যাচে ১০০ রান খরচ করার পর স্টার্কের তুলোধুনো করছিল কেকেআর ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো ট্রেন্ডও শুরু হয়েছিল ‘স্টার্ক হঠাও, কেকেআর বাঁচাও’। এমনকি সতীর্থরাও মুখ ফিরিয়েছিলেন কেউ কেউ।
তবে এই গোটা সময়টায় যদি কেউ পাশে ছিলেন তাহলে তিনি হলেন মেন্টর গৌতম গম্ভীর। একটা সময়ের জন্যেও স্টার্কের উপর থেকে ভরসা হারাননি গৌতি ভাই। গোটা দুনিয়া যখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল, তখনও স্টার্কের উপর ভরসা রেখেছিলেন গৌতম গম্ভীর। আর আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামে বোধহয় সেটারই প্রতিদান দিলেন ২৪ কোটি ৭৫ লাখি তারকা মিচেল স্টার্ক। বুঝিয়ে দিলেন নিজের দিনে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে দেখা দিতে পারেন। কোয়ালিফায়ারের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচ, স্টার্ক হয়তো এমন অঙ্ক কষেই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। অবশ্য এর কিছুটা শ্রেয় তো শ্রেয়াস আইয়ারকেও দিতে হয়। কারণ পাওয়ার প্লে-তেই তাকে দিয়ে তিন ওভার বোলিং করানো তো কম রিস্কি ব্যাপার নয়। তবে এই সুযোগটারই সদ্ব্যবহার করলেন মিচেল স্টার্ক। সেই সাথে কলকাতাও পৌঁছে গেল ফাইনালের দোরগোড়ায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম