।। প্রথম কলকাতা ।।
Sreelekha Mitra: টলিউডের সবচেয়ে স্পষ্টবাদী ব্যক্তিত্ব তিনি। যে বিষয়ে যা মনে হয়, তা সোজাসুজি বলে দেন ইন্ডাস্ট্রির এই অভিনেত্রী। কোনও কিছুতেই কোনদিন তোয়াক্কা করেন নি। যার জেরে নেটিজেনদের আলোচনা ও সমালোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন তিনি। মাঝেমধ্যেই তাঁকে নিয়ে নানা চর্চা হয়ে থাকে ইন্টারনেটে। তাঁর কাজের থেকেও বেশি অন্যান্য বিষয় নিয়ে চর্চা হয়। এবারও তাঁর একটি মন্তব্য ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি রামকমল মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘বিনোদিনী, একটি নটীর উপখ্যান’-এর ফাস্ট লুক প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে বিনোদিনীর চরিত্রে রয়েছেন রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। আর তাঁর লুক দেখে শ্রীলেখার (Sreelekha) মন্তব্য ঝর তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে শ্যুটিং। নায়িকা খোদ জানিয়ছেন, বিনোদিনীর সাজে তাঁকে তৈরি করতে পুরো টিমের সময় লেগেছে ৪ ঘন্টা। এদিকে শ্রীলেখা পোস্টারে রুক্মিণীর ছবি দেখে মন্তব্য করেন, ‘বিনোদিনী কি আদৌও এত রোগা ছিল?’ যদিও পরবর্তীতে তিনি লেখেন, শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞান বাড়ানোর জন্যই তাঁর এই পোস্ট। কিন্তু তাঁর সেই পোস্টকে ঘিরে মন্তব্যের বন্যা বয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার কাঊএবার ফেসবুক থেকে বিশ্রাম নিলেন তিনি। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরে এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক জারি ছিল। বিনোদিনী রোগা ছিল না মোটা! তা নিয়ে তরজা চলছিল ইন্টারনেটে। শ্রীলেখাকে জবাবে কিছু উদাহরণ দিয়েছেন পরিচালক ও ছবির অন্যতম প্রযোজক। এমনকি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তীও। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, এই ছবির জন্য কতটা পরিশ্রম করেছেন রুক্মিণী।
অরিত্র দাস লেখেন, ‘যিনি রোগা বিনোদিনী নিয়ে নিজের চিন্তা প্রকাশ করেছেন, তাঁকে বলি যাঁরা আগে পর্দায় বিনোদিনী হয়েছেন তাঁরা কি খুব মোটা ছিলেন কেউ?’ সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘অজয় দেবগনকে (Ajay Devgan) কি ভগৎ সিংয়ের মত দেখতে? সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) কি ধোনির মতো বা অরুন্ধতী দেবীকে কি ভগিনী নিবেদিতার মতো দেখতে?’ শ্রীলেখাকে পড়োশোনা করার পরামর্শ দেন তিনি। যার জবাবে নিজের অভিনয় করা বিনোদিনী চরিত্রের একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী এবং লিখেছেন, কোনও এক সময় বিনোদিনী চরিত্রে সুমন ঘোষের ছবিতে আমি তোমাদের জিকে দিদি। তিনি বলেন, ‘বিনোদিনী সম্পর্কে আমার পড়াশোনা আজ থেকে নয়। স্কুলে পড়তেই বাবা যখন নাটক করতেন, তখন থেকে পড়েছি। আর কাউকে অপমান করতে এই পোস্ট আমি দিইনি, সেটা আমার কাজও নয়। সমালোচনা করা আর অপমান করার মধ্যে একটা পার্থক্য রয়েছে। দুটো এক জিনিস নয়। আমাকে জিকে দিদি না বলে, ছবি ভালোভাবে বানাও। অল দ্য বেস্ট টিমকে’।
এরকমই বাকযুদ্ধ জারি ছিল দু’তরফে। এর পর বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘ফেসবুক প্রোফাইল আর পেজ থাকছে। আপাতত আমি বিশ্রাম নিচ্ছি। নিজের ও বন্ধু তালিকা পরিষ্কার করে আবার ফিরব। টক্সিসিটি থেকে বিদায়’। তাঁর পোস্টে মন্তব্যের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কেউ লিখেছেন, খুব ভালো সিদ্ধান্ত। কেউ আবার তাঁকে হাফ-ভ্যাকেশনের শুভেচ্ছা দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ভালোবাসা ও সম্মান। আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা। এদিন তিনি যা পোস্ট করেছেন তাতে এটুকুনি বোঝা যাচ্ছে যে, বন্ধুদের তালিকা থেকে অনেককেই বাদ দিতে চলেছেন অভিনেত্রী। যদিও পরিষ্কারভাবে সেই নিয়ে কিছু লেখেন নি। দেখার, কবে ফেসবুকে অ্যাকটিভ হন নায়িকা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম