।। প্রথম কলকাতা ।।
Bollywood: মেয়ে জাহ্নবীকে একদমই বিশ্বাস করতে পারতেন না শ্রীদেবী। করতেন চরম অবিশ্বাস। মায়ের ভয়ে তো প্রেম নিয়ে কথাই বলতে পারতেন না জাহ্নবী। সবসময়ই থাকতেন ভয়ে ভয়ে। অতিষ্ঠই হয়ে উঠেছিলেন নায়িকা। শ্রীদেবীর মৃত্যুর এতবছর পর জাহ্নবী করলেন পর্দা ফাঁস। জানালেন চাঁদনির এই গোপন অভ্যাসের কাহিনী। ঠিক কী নিয়ে মায়ের প্রতি এত বিরক্ত ছিলেন পর্দার মিলি? মাকে নিয়ে ঠিক কী জানালেন জাহ্নবী কাপুর? জানাবো সবটাই।
এটা শুনে হয়ত অনেকেই অবাক হয়েছেন যে, একটা সময় জাহ্নবী কাপুরকেও নাকি রাখা হত চোখে চোখে! এটা নাকি একেবারেই সত্যি। কথাটা কিন্তু আমরা বলছিনা। একথা স্বীকার করেছেন খোদ অভিনেত্রী। মায়ের মৃত্যুর এতবছর পর নায়িকা ফাঁস করেছেন হাঁড়ির কথা। কিন্তু প্রশ্ন হল ‘ধড়ক’ অভিনেত্রীই কী এমন ঘটিয়েছিলেন, যার জন্য মায়ের মনে ছিল এত অবিশ্বাস?
আসলে কী বলুন তো, আজকালকার হুক আপ বা ইন্সট্যান্ট ডেটিং-এ বিশ্বাস করতেন না শ্রীদেবী। প্রেমে তার আপত্তি ছিলনা ঠিকই। তবে সেই প্রেম যেন বিয়ে অবধি পৌঁছায়। মেয়ে জাহ্নবীও এই নীতি অনুসরণ করবেন বলেই মনে করেছিলেন তিনি। তবে চাঁদনি কন্যার মতিগতি তো ছিল অন্য। মাকে তো সোজাসুজিই জানিয়ে দিয়েছিলেন নায়িকা। তিনি নাকি অমন প্রেম করতে পারবেন না।
শ্রীদেবীর এক প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সব ভাললাগারই কি পরিণতি থাকে? সব ভাললাগাই কি বিয়ে অবধি পৌঁছায়!’ ব্যাস, তাতেই চমকে উঠেছিলেন শ্রীদেবী ও বনি কাপুর। আসলে চাঁদনির কাছে সম্পর্ক মানেই এক সহজ সরল সমীকরণ। তার কাছে ভালোবাসার ফাইনাল ডেস্টিনেশন ছিল বিয়ে। স্বামী বনি কাপুরকেও মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন তিনি। বনি কাপুর তো আজও মেনে নিতে পারেন না যে শ্রীদেবী নেই।
আচ্ছা এই বিষয়ে আপনার কী মতামত? ভালোবাসার ক্ষেত্রে কোথাও গিয়ে কি একটা সীমারেখা থাকা উচিত? নাকি বলি তারকাদের মত অবাধ সম্পর্কে জড়ানোতেই বিশ্বাস রাখেন আপনিও? কী মনে হয়, শ্রীদেবীর ভাবনা ঠিক নাকি জাহ্নবীর? এটা কিন্তু কমেন্টে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।
আসলে যতই সুপারস্টার হোক না কেন, দিন শেষে শ্রীদেবীও একজন মা ছিলেন। আর পাঁচটা মা যেমন তার সন্তানকে নিয়ে চিন্তিত হন তেমনই চিন্তাভাবনা করতেন তিনিও। বিষয়টা যখনই মেয়েদেরকে কেন্দ্র করে ঘটত, তখন আর ঐ তারকাদের মত করে ভাবতে পারতেন না। তিনি মনে করতেন, জাহ্নবী মানুষ চিনতে পারেননা। হয়ত ভুল সম্পর্কে গিয়ে ঠকতে পারেন। তাই মেয়ে কোনও ভুল স্টেপ নেওয়ার আগেই মা হিসেবে তাকে থামানোটা কর্তব্য বলে মনে করতেন তিনি।
অবশ্য আজ তিনি আর নেই। জাহ্নবীও এখন অনেকটাই ম্যাচিওর। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারেন তিনি। তবে মায়ের অভাব বোধ তো করেন। এর আগেও বহুবার জানিয়েছেন মা শ্রীদেবীর কথা। তবে কেবল জাহ্নবীই, সেই সাথে ভক্তরা মিস করেন তাদের প্রিয় নায়িকাকে। সশরীরে না থাকলেও তার কাজের মধ্যে দিয়েই বেঁচে আছেন তিনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম