।। প্রথম কলকাতা ।।
Protest in Sri Lanka: বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। ফেব্রুয়ারির শুরুতে শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানিয়েছিল, নির্ধারিত সময় স্থানীয় নির্বাচন করার কথা থাকলেও তা একেবারেই সহজ হবে না। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি। তাই দেশটি নির্বাচন কমিশন স্থানীয় নির্বাচন মে মাস পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন জমা দেয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচন স্থগিত করলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো (Colombo)।
বিগত এক বছরে দেশটি ধীরে ধীরে দেউলিয়ার পথে এগিয়ে গিয়েছে। দেউলিয়া ঘোষণা হওয়ার বহুদিন পরেও শ্রীলঙ্কার শান্তি কিছুতেই ফিরছে না। বহু দেশ শ্রীলঙ্কার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, যদিও চাহিদার তুলনায় সামান্য মাত্র। এখনো পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার জনগণ ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট অপরদিকে স্থানীয় নির্বাচন। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল না থাকায় আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় স্থানীয় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। তারপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে কলম্বো। রবিবার কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় ভারী হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কার বাতাস।
শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, যদি দেশ জুরে স্থানীয় সরকার যথাযথ নিয়মে নির্বাচনের আয়োজন করে এবং ভোটগ্রহণ নেয় সেক্ষেত্রে খরচ হতে পারে অন্তত এক হাজার কোটি শ্রীলঙ্কান টাকা। বর্তমানে দেশটির অর্থনৈতিক ভাঁড়ার একেবারে শূন্য। সেক্ষেত্রে এত টাকা খরচ করে স্থানীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আপাতত মার্চের ৩ তারিখে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে। অপরদিকে বিরোধী দল এসজিবি নির্বাচন স্থগিত করার জন্য দায়ী করছেন প্রেসিডেন্টের রনিল বিক্রমাসিংহেকে। যদিও শ্রীলঙ্কার ইতিহাসের স্থানীয় নির্বাচন স্থগিত হওয়া একেবারেই নতুন নয়। ২০২২ এও ঠিক একই ভাবে মার্চে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অর্থনৈতিক সংকটে জেরে তা স্থগিত করা হয়। বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা ২০২২ এ প্রায় ২৯০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। অথচ ওই এই পরিমাণ অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নানান কঠোর শর্ত মানতে হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কায় আয়কর এবং বিদ্যুতের দাম অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ৭ দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সব থেকে বেশি অর্থনৈতিক ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে একটি ভাষণে বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের যে ঘূর্ণিতে শ্রীলঙ্কা রয়েছে সেই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দায়িত্ব হল, দেশটিকে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করা। পাশাপাশি আরো জানান, এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অর্থনীতির উপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে। নির্বাচন কমিশন শুক্রবার অনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন স্থগিত থাকবে। আগামী তারিখ ঘোষণা হবে ৩ মার্চ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম