।। প্রথম কলকাতা ।।
South 24 Parganas: মাছ ধরে ফেরার সময় সুন্দর বনে মৎস্যজীবীদের ট্রলারে চলল বনদফতরের তল্লাশি। আর সেই তল্লাশিতে যা মিলল তাতে রীতিমত চক্ষু চড়ক গাছ বনদফতর কর্মীদের। বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও নদী থেকে হাঙর ছানা ধরার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল চার মৎস্যজীবীকে। নিষিদ্ধ জেনেও কেন হাঙর শিকার ? জানালেন অন্যান্য মৎস্যজীবীদের একাংশ।
ঘটনাটি হল, সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনদফতরের বকখালি রেঞ্জের অফিসাররা বিভিন্ন ট্রলারে তল্লাশি চালানোর সময় একটি ট্রলারে একাধিক হাঙর ছানার সন্ধান পান । সেখানে মোট ৬৮ টি হাঙর ছানা ছিল বলে জানা যায় । আইন অমান্য করে এই হাঙর ধরার জন্য গ্রেফতার করা হয় ভক্ত দেওয়ান ,প্রণব দাস, মদন মাইতি এবং নবকুমার ভূঁইয়া নামে চার মৎস্যজীবীকে। তাঁরা সকলেই ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার বিজয়বাটি এবং দক্ষিণ শিবপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে । সোমবারই তাদের পেশ করা হয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদেরকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, বনদফতরের তরফ থেকে পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে হাঙর বর্তমানে লুপ্তপ্রায়। যে কারণে হাঙর ধরা এবং বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি বারবার অভিযোগ উঠে আসে যে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের একাংশ নদী এবং সমুদ্র থেকে এখনও পর্যন্ত হাঙর ধরছেন এবং তা চড়া দামে বিক্রি করছেন।
এরপরই বনদফতরের তরফ থেকে বিভিন্ন ট্রলারে তল্লাশি চালানোর কাজ শুরু হয় । যার ফলে সোমবার আটক করা হয় ওই মৎস্যজীবীদের। এই বেআইনি কাজ করলে যেখানে শাস্তি মিলবেই তখন কেন মৎস্যজীবীরা নিয়ম ভাঙছেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে মৎস্যজীবীদের একাংশে নিয়ে দাবি , চলতি বছরে ইলিশের তেমন বাজার ছিল না। আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যায়নি । শীত আসছে, মাছ ধরার প্রবণতা ধীরে ধীরে কমবে। কিন্তু ক্ষতি কমার কোন আশঙ্কা নেই। তাই সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্যই মৎস্যজীবীদের একাংশ লুকিয়ে হাঙর ধরে তা বিক্রি করছেন বেশি দামে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম