।। প্রথম কলকাতা ।।
Arijit Singh: রেস্তোরাঁ খুলেছেন গায়ক অরিজিত সিং? সুযোগ পেলেই সেই রেস্তোরাঁ সামলান তিনি। খাবার খেতে খেতে একবার চোখের দেখা দেখবেন নাকি আপনার প্রিয় গায়ককে। তাহলে তো যেতেই হবে। এই রেস্তোরাঁর পরতে পরতে চমক। এখানে খাবারের দাম শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। এতটাই কম এখানের খাবারের দাম। ঠিক কি কারণে খোলা হয়েছে এই রেস্তোরাঁ জানেন? জানলে অরিজিত ও তার পরিবারের ওপর আপনার শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যেতে বাধ্য।
বাংলার গর্ব জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র। খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেও মাটির মানুষ দেশের অন্যতম সেরা গায়ক অরিজিৎ সিং। তাঁর গানে মুগ্ধ আসমুদ্র হিমাচল। গানের পাশাপাশি এবার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল অরিজিতের রেস্তোরাঁ। হেঁশেল নামের রেস্তোরাঁ কি সত্যিই বিশ্ববিখ্যাত গায়কের? আসলে এই রেস্তোরাঁ অরিজিতের পরিবারের। অরিজিৎ তার উপার্জনের সিংহভাগ খরচ করেন সমাজ কল্যাণের কাজে। তিনি তার শহর জিয়াগঞ্জে বড় স্কুল এবং হাসপাতাল গড়ে দিতে চান। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যাতে দুবেলা কম খরচে ভরপেট খাবার পান সেই দিকেও নজর রেখেছেন তিনি। তাই জিয়াগঞ্জের বুকে অরিজিতের পরিবার খুলে ফেলেছে একটা সস্তার রেস্টুরেন্ট। সঙ্গীত জগতে তাঁর খ্যাতির পাশাপাশি এবার তাঁর পারিবারিক রেস্টুরেন্ট হেঁশেলের সুনাম বাড়ছে তরতর করে। জেলা, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে জিয়াগঞ্জের হেঁশেলের সুখ্যাতি। উৎসাহীদের ভিড় ক্রমশই বাড়ছে সেখানে।
ভুবন জোড়া নাম অরিজিৎ সিংয়ের। দেশ বিদেশের পর্যটকরা লালবাগে পা রাখলেই সঙ্গীত শিল্পীর টানে পৌঁছে যাচ্ছেন লালবাগ থেকে পাঁচ কিমি দূরে জিয়াগঞ্জে। শিল্পীর বাড়ি দেখার পাশাপাশি তাঁকে চাক্ষুষ দেখারও আশা নিয়ে জিয়াগঞ্জে যাচ্ছেন অনেকে। সকাল এগারোটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত খোলা থাকে হেঁশেল। সেখানে দেশ বিদেশের অতিথিদের সামলান অরিজিৎ সিংয়ের বাবা সুরেন্দ্র সিং ওরফে কাক্কা সিং। শহরে থাকলে রেস্তারাঁ সামলান অরিজিৎ নিজেও। তাই হেঁশেলে অনেক অতিথিই যান কেশরিয়া গায়ককে দেখার আশায়। অরিজিত কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার পরও কেন রেস্তোরাঁয় পরিশ্রম করছেন অরিজিতের বাবা? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হেঁশেল চালানো শুধু মাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য নয়। ২৯ জনকে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্হা করা হয়েছে এখানে। পাশাপাশি চলছে সস্তায় খাবার পরিবেশন। সাধারণত তারকাদের রেস্টুরেন্ট কিংবা হোটেলে খাবারের দাম আকাশছোঁয়া থাকে। সাধারণ মানুষ তার ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারেন না। তবে অরিজিতের হোটেলের খাবারের দাম জানলে আপনি চমকে যাবেন। খুবই কম মূল্যে এখানে ভরপেট খাবার পাওয়া যায়। হেঁশেলে রয়েছে পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ছাড়। সোম থেকে শনিবার পড়ুয়াদের মাত্র ৪০ টাকায় ভেজ থালি পরিবেশন করা হয়। তাদের জন্য পার্সেলের ব্যবস্থাও রয়েছে।
পাশাপাশি সব খাবারের দামই বহরমপুরের থেকে প্রায় আড়াই গুণ কম। বহরমপুরের রেস্টুরেন্টগুলিতে বাটার নানের দাম ১০০ থেকে ১২০টাকা। হেঁশেলে ওই খাবারের দাম মাত্র ৫০ টাকা। কম দাম হলেও স্বাদ এবং গুণমান দারুণ। রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে খাদ্য রসিকরা সব থেকে বেশি অভিযোগ তোলেন পরিষেবা নিয়ে। খাবার টেবিলে বসে দেরি মানতে পারেন না অনেকে। সেক্ষেত্রেও হেঁশেলের পরিষেবা মন জয় করেছে সবার। একবার যারা হেঁশেলে ঢোকেন তাঁরা আসেন বারবার। কপাল ভালো থাকলে দেখা মেলে মিষ্টি হাসির অরিজিতেরও। তাঁর মতোই তাঁদের রেস্তোরাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম