।। প্রথম কলকাতা ।।
Solar Storm: তীব্র গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। গোটা দেশের ভাজা ভাজা অবস্থা। বঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ইতিমধ্যে তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রিতে। সেই জায়গায় আরেকটি সতর্কবার্তা সাধারণ মানুষকে বেশ উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই তীব্র গরমের মাঝে নাসা(NASA) সৌর ঝড়ের (Solar Storm) সতর্কবার্তা দিয়েছে। সৌর ঝড় মানেই তার সাথে একগুচ্ছ সমস্যা।
এখনো এক সপ্তাহ হয়নি, ছোট্ট সৌর ঝড়ের ঝাপটা লেগেছিল পৃথিবীতে। এবার তার থেকে আরো বড় ঝড়ের আশঙ্কা করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আশঙ্কা অনুযায়ী, সৌর ঝড়ের সরাসরি প্রভাব থাকতে পারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। নাসার তরফ থেকে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে সৌর ঝড়ের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নানান প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর সব কাণ্ড। বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বেতার। ফাটল ধরতে পারে পৃথিবীর আবরণের চুম্বক ক্ষেত্রে। তাই এই সময়ে যদি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে তাহলে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সৌর ঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে শুধু ব্ল্যাকআউটের আশঙ্কা থাকে না, এই ঘটনার কারণে আরও অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমনটা হলে সারা বিশ্বের রেডিও সিগন্যালে সমস্যা তৈরি হয় । যার কারণে রেডিও পরিচালনায় সমস্যা হতে পারে। একই সময়ে, এটি জিপিএস ব্যবহারকেও প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর সর্বাধিক এবং সবচেয়ে খারাপ প্রভাব হতে পারে মোবাইল ফোনের সিগন্যালে। যার কারণে বিশ্বে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা স্থবির হয়ে যেতে পারে। এমন সব ঝামেলার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ঝড় নিয়ে আরও উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
সৌর ঝড়কে ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় এবং সৌর ঝড়ও বলা হয়। এটি সূর্য থেকে নির্গত এক ধরনের বিকিরণ। এর ফলে চৌম্বকীয় বিকিরণ ও তাপ বৃদ্ধি পায়। যা পৃথিবীতে পৌঁছাতে ১৫ থেকে ১৮ ঘন্টা সময় লাগে। যখন সৌর ঝড়টি আসে সূর্য তার প্রায় ১১ বছরের দীর্ঘ সৌর চক্রের সবচেয়ে সক্রিয় পর্যায়ে প্রবেশ করে।