।। প্রথম কলকাতা ।।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে প্রায়শই চর্চায় থাকেন নন্দিনী দি। কলকাতার অফিস পাড়ায় পাইস হোটেল চালান তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে যে কীভাবে মানুষের ভাগ্য ঘুরে যায় তা বোঝা যায় নন্দিনী দিদিকে দেখলে। এবার নায়িকা হচ্ছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে ‘স্মার্ট দিদি’ অথবা ‘নন্দিনী দিদি’ নামেই বেশি জনপ্রিয় তিনি। ডালহৌসির অফিস পাড়ায় পাইস হোটেল চালানো নন্দিনী আচমকাই ভাইরাল হয়ে যান সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরেই ঘুরে যায় তাঁর ভাগ্যের চাকা।
প্রায় রোজই এখন নন্দিনী দিদির দোকানের সামনে ইউটিউবারদের ভিড় দেখা যায়। শুধু তাই নয়, দেশের বাইরে থেকেও প্রচুর লোক খেতে আসে তাঁর হোটেলে।এবার শোনা যাচ্ছে, এই নন্দিনী দিদিই নাকি সিনেমায় নাম লেখাতে চলেছেন! ইনস্টাগ্রামে লাইভ আসেন তিনি। সেখানেই তাঁর কথা শুনে এই জল্পনা শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল নন্দিনী দিদির নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে জিন্স স্টপ পরা এক আধুনিকা যুবতী। হাতে রিস্ট ওয়াচ গলায় ঝুলানো ব্লুটুথ হেডফোন। নিপুন হাতে থালায় বেড়ে দেন ভাত ডাল তরকারি। আবার মাঝে মধ্যে মেজাজারা হারাতেও দেখা যায়।
এবার রাজা সাহার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ আসেন নন্দিনী দিদি। প্রথমে নিজের হাতে থাকা বেশ কয়েকটি কাগজ দেখান তিনি। তারপর বলেন, আজ তাঁরা বড়সড় চমক দেবেন। ‘স্মার্ট দিদি’ বলেন, ‘আজ আমরা একটা চরিত্রের কথা বলবো। নন্দিনীনয়, সেই চরিত্র হল নিলাক্ষী’। এরপর রাজা বলেন, ‘নিলাক্ষী এমন একজন মেয়ে যে ভীষণ সুন্দরী, আকর্ষণীয় এবং ক্রিয়েটিভ। সে লিখতে ভালোবাসে। নিজের লেখায় সত্যিটাকে তুলে ধরতে ভালোবাসে’। এরপর আইকনিক অজিত এবং জটায়ুর সঙ্গে নিলাক্ষীর তুলনা করেন তাঁরা।
কথার সূত্রেই নন্দিনী বলেন, ‘কিছু সত্যি বাইরে আসা। আবার কিছু সত্যি নিজের মধ্যে চেপে রাখা। সম্পর্কের দাম, কোনও পরিবারের কাছে একটা সম্পর্কের কী মর্ম হতে পারে, সেসব নিয়ে নিলাক্ষীর গল্প’। নন্দিনী এবং রাজার কথা থেকেই স্পষ্ট কোনও সিনেমা আসছে। যদিও দু’জনের কেউই জানাননি, নিলাক্ষী চরিত্রে কাকে অভিনয় করতে দেখা যাবে।
ভাইরাল নন্দিনী দিদি জানান, আস্তে আস্তে এই রহস্য থেকে পর্দা উঠবে। নিলাক্ষীর এই কাহিনী সিনেমা আকারে দেখানো হবে নাকি ওয়েব সিরিজ আকারে রয়েছে সেই প্রশ্নও। শুধু তাই নয়, নিলাক্ষীর গল্পের সঙ্গে নন্দিনীর কি যোগসূত্র আছে সেটাও এখনও পরিষ্কার হয়নি। তাহলে কি এবার বড়পর্দায় ডেবিউ করতে চলেছেন ডালহৌসির পাইস হোটেলের মালকিন? প্রশ্ন হাজার থাকলেও উত্তর মেলেনি এখনও।
নন্দিনী এমবিএ করেছেন। চাকরিও করতেন। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে কাজের জায়গায় দিন 15র ছুটি নিয়ে ফেরেন কলকাতায় নন্দিনী। হাতে হাতে দোকান চালাতে থাকেন। বাবার ছোট্ট স্বপ্নটা পূরণ করতে ছেড়ে দেন নিশ্চিত মাস মাইনের চাকরি। বাদবাকিটা তো ইতিহাস।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম