।। প্রথম কলকাতা ।।
Tollywood: টলিউডের সেরা কমেডিয়ান বললে এক ডাকে উঠে আসবে শুভাশীস মুখোপাধ্যায়ের নাম। অভিনয়ে তুখোড়, তা সত্বেও থেকে গেলেন কেবল কমেডিয়ান হয়েই!কেন তার দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলনা পরিচালক প্রযোজকরা? কোথাও গিয়ে কি আফশোস কাজ করছে মনে? সকলের মন ভালো করার কারিগর, সেই শুভাশিসের যন্ত্রণাময় জীবন জানলে চোখে আসবে জল।
সিনেমা হোক কিংবা সিরিয়াল, সব জায়গাতেই নায়ক নায়িকাদের পাশাপাশি কৌতুকাভিনেতাদের অবদানও কম কিছু নয়। আসলে মানুষকে হাসাতে পারাটাও একটা আর্ট। আর সবাই সেটা পারেনা। তবে শুভাশিস মুখার্জি সেটা বেশ ভালোভাবেই পারতেন। আজও বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সেরা কমেডিয়ান বললে তার নামটাই সবার আগে আসবে। আপনিও হয়ত চুটিয়ে উপভোগ করেছেন তার অভিনয়।
তবে দুঃখের বিষয় হল, সকলের মন ভালো করা এই তারকার জীবনেও রয়েছে একটা যন্ত্রণাময় ইতিহাস। অনেকেই হয়ত জানেননা যে, এই অভিনেতা আসলে ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। তবে ভাগ্য তাকে এই দুনিয়ায় এনে ফেলেছিল। তা এক অন্য কাহিনী। সে গল্প না হয় অন্যদিন শোনাব। তবে যে ইন্ডাস্ট্রির জন্য তিনি প্রাণপাত করেছিলেন সেই দুনিয়াও যে তাকে খুব সুখ দিয়েছে তা নয়।
ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতা ছিল তার মধ্যে। অবলীলায় হাসাতে পারতেন মানুষকে। যার ভরপুর সুযোগ নিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রি। বদলে তিনি কী পেয়েছেন? প্রশ্নচিহ্নটা পড়েই যায়।
আসলে কৌতুকাভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করতে করতে ইন্ডাস্ট্রি তাকে বড্ড বেশি টাইপ কাস্ট করে দিয়েছিল। এত বড় মাপের একজন অভিনেতাকে আর অন্য চরিত্রে ভাবতেই পারেনি কেউ। যে কারণে দর্শকরাও তার আসল প্রতিভা দেখতেই পায়নি কখনও। আচ্ছা আপনার কী মনে হয়? এতবড় মাপের একজন অভিনেতাকে কি কেবল কমেডির গণ্ডিতে আটকে রাখাই ঠিক? অন্যান চরিত্রে কেন সুযোগ পেলেননা তিনি? কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের।
একবার তো এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই বলেছিলেন, ‘আর কী কী করলে তারা আমাকে অন্য চরিত্রে ভাববেন, সেটা সত্যিই আমি জানি না। আমার বয়সটা হয়তো বাড়বে, কিন্তু আমি আশাবাদী।’
তবে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ এসেছিল বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘শিল্পান্তর’ ছবিতে। এই প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন ছকভাঙা চরিত্রে অভিনয় করার। আর এই একটা ছবিতেই জাত চিনিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি কেবলই একজন কমেডিয়ান নন। তিনি আসলেই একজন জাত শিল্পী।
এরপর কপালের ফেরে সুযোগ এসেছিল ‘হারবার্ট’এও অভিনয় করার। সেটাতেও প্রাণ ঢেলে অভিনয় করেছিলেন শুভাসিশ। অভিনেতার কঠোর সমালোচকরাও এই ছবির প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছিল। তবে তার মানে এই নয় যে, লাগাতার এধরণের ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ‘মেঘে ঢাকা তারা’ কিংবা ‘মহালয়া’র মতো বেশ কিছু ভিন্ন ধারার সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল। তবে সেসবও ওই হাতে গোনা কয়েকটা।
জেনে অবাক হবেন যে, মাঝে প্রায় দেড় বছর কোনও কাজ পাননি তিনি। ভাবতে পারছেন, তার মত একজন প্রতিভাবান অভিনেতাও টানা দেড় বছর বসেছিলেন কাজের অপেক্ষায়। মাঝে কিছুদিন তো পর্দার কাজ ছেড়ে চুটিয়ে যাত্রা করতে শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়টাতেই তার শূন্যস্থান পূরণ করেছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। এরপর শেষমেষ পর্দায় ফিরে আসেন ছোটপর্দার হাত ধরে। জি বাংলার বিখ্যাত সিরিয়াল ‘জড়োয়ার ঝুমকো’য় একবার ফের দেখা গেছিল তার অসামান্য অভিনয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম