।। প্রথম কলকাতা ।।
Delhi Pandav Nagar Murder: এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের সব রহস্য পরিষ্কার নয় কারোর কাছে। আর তারই মাঝে আরও এক নৃশংস খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। এবার স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী এবং খুনের পর প্রমাণ লোকাতে দেহ ২২টি টুকরো করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির পাণ্ডব নগরে। ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর নিহতের স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ।
‘নিউজ 18’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহের টুকরো খুঁজে বার করার জন্য দিল্লির প্রায় সব থানায় নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। আর তখনই জানা গিয়েছে, গত জুনে পূর্ব দিল্লির ত্রিলোকপুরী এলাকায় রামলীলা ময়দান থেকে একটি কাটা মুন্ডু ও একটি কাটা হাত উদ্ধার হয়েছিল। সেটি পচে-গলে যাওয়ায় সেই সময় তার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। শ্রদ্ধার ঘটনা সামনে আসতেই প্রশ্ন জাগে সেই কাটা মুন্ডু এবং দেহাংশ কি শ্রদ্ধার? তারপরেই ডিএনএ টেস্টে পাঠানো হয় এবং জানা যায়, সেটি একজন বাঙালি প্রৌঢ়ের।
একদিকে বান্ধবীর দেহ ৩৫টি টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। অন্যদিকে এই বাঙালি প্রৌঢ়কে খুনের পর মৃতদেহ কয়েক টুকরো করে রেফ্রিজারেটরে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলে ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে। একটা ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটা। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি ক্রাইম অমিত গোয়েল বলেছেন, ৫ জুন পূর্ব দিল্লির ত্রিলোকপূরী এলাকায় রামলীলা ময়দান থেকে কয়েকটি দেহাংশ উদ্ধার হয়েছিল। পরবর্তীতে দুটি পা, দুটি থাই, কাটা মাথা, একটি হাতের অগ্রভাগ মেলে। পুলিশে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু দেহাংশগুলি কার তা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়।
সমস্ত ফুটেজ খতিয়ে দেখে বহু মানুষকে জেরা ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবশেষে মৃতের নাম জানা যায় অঞ্জন দাস। পুলিশ সূত্রে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকায় স্ত্রী ও ছেলের হাতে খুন হতে হয়েছে তাঁকে। দিল্লির পাণ্ডব নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেহাংশ উদ্ধার হওয়ার ঘটনার পরেই এই হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে। স্ত্রীর নাম পুনম। পুলিশের অনুমান, ছেলে ও মা মিলে মাদক প্রয়োগ করে হত্যা করেছে অঞ্জন বাবুর। তারপর তাঁর নিথর দেহ টুকরো টুকরো করে রেখে দেয় নিজের বাড়িতেই এবং আফতাবের মতোই বেশ কিছুদিন ধরে দেহাংশগুলি ফেলা হয়েছে। কিন্তু দু’টি ঘটনার মধ্যে অদ্ভুতভাবে কোনও যোগসূত্র নেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম