।। প্রথম কলকাতা ।।
হাসিমুখে সেলফি কিংবা নিউইয়র্কে বাইডেনের সঙ্গে নৈশভোজ, কোনটাই কি কাজে আসল শেখ হাসিনার? একের পর এক ফেল করছে সব স্ট্র্যাটেজি। ঢাকায় প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। খতিয়ে দেখবে নির্বাচন পরিস্থিতি। সামান্য বেগতিক হলেই মুশকিল। মাঝে মাত্র তিন মাস বাকি। নির্বাচনের আগে কিছুতেই নরম হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। কেমন হবে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন? আশঙ্কায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। শেখ হাসিনার গদি টিকবে তো? চলছে ভীষণ ব্যালেন্স করে।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সদা সতর্ক যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৭ই অক্টোবর বাংলাদেশে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। ১৩ই অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে এবং নির্বাচনের সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখবে। যা দেখবে সেটাই বলবে, পাবলিক বিবৃতিতে। যদি কোন চিন্তার বা উদ্বেগের বিষয় থাকে সেগুলো তালিকা থেকে বাদ পড়বে না। বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন সহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে। এই প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করছে, নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক পাঠাবে নাকি পাঠাবে না। প্রতিনিধি দলে থাকবেন ৬ জন প্রতিনিধি এবং সাপোর্ট স্টাফ। অপরদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। তাই কোন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ। তার বদলে পাঠাতে পারে ছোট একটা বিশেষজ্ঞ দল।
কিছুদিন আগেই নিউইয়র্কে বাইডেনের আয়োজিত নৈশভোজে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। সেখান তিনি বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ভারতের জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে হাসিমুখে বাইডেনের সঙ্গে সেলফি থেকে শুরু করে নৈশভোজ, কোনো কিছুতেই বাংলাদেশের উপর থেকে সরছে না যুক্তরাষ্ট্রের নজর। ঘুরেফিরে সমস্ত বিষয় আটকে যাচ্ছে নির্বাচনে গিয়ে। বলা যেতেই পারে, সামনের তিনটে মাস বাংলাদেশের জন্য ভীষণ ভাইটাল। পা ফেলতে হবে অত্যন্ত সাবধানে। নির্বাচনে কোন গন্ডগোল হলেই পশ্চিমাদেশ কিন্তু ছেড়ে কথা বলবে না।
এত বিতর্ক এত জলঘোলার মাঝেও কিন্তু বাংলাদেশ রয়েছে ব্যালেন্সে। এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বাংলাদেশ খুব সুন্দর করে ভারত রাশিয়া চীন এবং আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনুসরণ করছে ভারসাম্যের নীতি, যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। একদিকে যেমন ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি করে চলেছে, তেমনি রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেছে। পিটারের মতে, এসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই। যুক্তরাষ্ট্র কখনই চায় না বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে। বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের প্রায় এগারো হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটা চায়, আরও বেশি পরিমাণে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার সুযোগ পাক। হস্তক্ষেপ নয়, সুষ্ঠু নির্বাচন চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পিটার হাস। বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে সুষ্ঠুভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে সমস্ত রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখতে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পাশে আছে, পাশে থাকবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম