।। প্রথম কলকাতা ।।
জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে শেখ হাসিনা পেলেন বড় আশ্বাস। ভারতের মাটিতে ঘটে গেল সেই ম্যাজিক। সৌদি হাত মেলাল বাংলাদেশের সঙ্গে। দিল্লি থেকে সরাসরি ঢাকা উড়ে গেলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ৩৩ বছরে এই প্রথম। যুক্তরাষ্ট্রকে আর দরকার নেই। বাংলাদেশের শক্ত খুঁটি এখন ফ্রান্স। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে এত গদগদ কেন? তবে কি সবটাই ভূ-রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি? বাংলাদেশে স্বার্থ খুঁজছে সবাই।
দিল্লিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে বসেছিল চাঁদের হাট। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের প্রায় ৪০টা দেশের প্রতিনিধি। সেখানেই শেখ হাসিনার সঙ্গে হাসিমুখে হাত মেলাতে দেখা গেল সৌদির ক্রাউন প্রিন্সকে। সৌদির যুবরাজ বলেই দিলেন, সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশকে দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস। অপরদিকে সম্মেলন শেষ হতেই, দিল্লি থেকে ঢাকা উড়ে গেলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ। ফ্রান্স বাংলাদেশের আলোচনা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে পৌঁছে দেবে নতুন উচ্চতায়।
ফ্রান্স মিলিটারি হার্ডওয়্যারে বেশ উন্নত। সমরাস্ত্র রপ্তানি করে বহু দেশে। বহুদিন ধরেই টার্গেটে রেখেছে বাংলাদেশকে। সমরাস্ত্র বিক্রির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ফ্রান্স। অপরদিকে বাংলাদেশের চাইছে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বোয়িংয়ের আধিপত্য কিছুটা হলেও কমে। তাই বিমান বহরের জন্য ফার্স্ট চয়েসে ভাবছে ফ্রান্সের কথা।বাংলাদেশ এবং ফ্রান্সের সম্পর্ক নতুন নয়। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পেরিয়েছে প্রায় ৫০ বছর। এর আগে সেই ১৯৯০ সালে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঢাকায় এসেছিলেন। ম্যাক্রঁর সফরের পরই হয়ত বাংলাদেশে ফ্রান্স প্রকৌশল, জ্বালানি, অ্যারোস্পেস সহ নানান খাতে কাজ শুরু করে দেবে। ফ্রান্সের সহায়তায় স্যাটেলাইটের জন্য তৈরি হবে অপটিক্যাল রাডার।
শেখ হাসিনার কথায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই ফ্রান্স দেশটার বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন সহ বিশ্বের সমস্যার সমাধানে দুই দেশের পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অপরদিকে ফ্রান্সেরও বাংলাদেশকে নিয়ে ইন্টারেস্ট কম নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে যেভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ফ্রান্সের অবদান যথেষ্ট।
কিন্তু বিশ্বের এত দেশ থাকতে ফ্রান্সের নজর কেন বাংলাদেশ? কেন বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব গাঢ় করতে এতটা মরিয়া? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন , এখানে রয়েছে কৌশলগত স্বার্থ। আসলে ইন্দো প্যাসিফিকে ফ্রান্সের সামরিক উপস্থিতি থাকলেও অতটাও পোক্ত নয়। ফ্রান্স ইউরোপের প্রভাবশালী দেশ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভূ কৌশলগত এবং ভূ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ফ্রান্সের দরকার বাংলাদেশের সহযোগিতা। বোঝাই যাচ্ছে, বিশ্ব কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ফ্রান্স গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশকে। দুই দেশের আলোচনায় উঠে আসতে পারে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ উৎক্ষেপণ এর সমঝোতা চুক্তি। তার উপর সামনেই নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র নানান ইস্যুতে ক্রমাগত চাপ তৈরি করেছে। এই মুহূর্তে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের ঢাকা সফর কিছুটা স্বস্তি আনতে পারে বাংলাদেশে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম