।। প্রথম কলকাতা ।।
China Covid Protests: চিনের কঠোর কোভিড বিধি-নিষেধের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের বিক্ষোভে সাংহাইতে শত শত বিক্ষোভকারী এবং পুলিশ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সেভাবে পুলিশের তরফ থেকে কোনও কিছু করা হয়নি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নামতে হয় পুলিশকে। যদিও এই বিক্ষোভের পেছনে রয়েছে এক বড় ঘটনা। NDTV-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সে জেশের জিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমকিউই-এর একটি বহুতল আবাসনে আগুন লেগে প্রাণ হারান ১০ জন বাসিন্দা। করোনার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কারণেই অনেক বাসিন্দা আবাসন ছেড়ে বেরোতে পারেননি। আর আগুন লেগে যাওয়ার পরও অনেকে সেখানে আটকে পড়েছিলেন। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু এই মর্মে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে আমজনতা।
বিক্ষোভকারীরা রাজধানী বেইজিং এবং সাংহাইতে জড়ো হয়েছে। কেউ কেউ রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। স্লোগান উঠেছে, ‘লকডাউন তুলে দাও’। রবিবার রাতে রাজধানী বেইজিংয়ের একটি নদীর তীরে প্রায় ৪০০-র কাছাকাছি লোক জড়ো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকে কিছু চিৎকার শোনা যায়, ‘আমরা সবাই জিনজিয়াংবাসী! চিনারা যাও!’এমনকি উহানেও বিক্ষোভ হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গুয়াংজু, চেংডু এবং হংকংয়ে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে।
গতকাল বেইজিংয়ের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জন শিক্ষার্থী। চিনের অর্থনীতির ‘পাওয়ার হাউজ’ বলা হয়ে থাকে সাংহাইকে। সেই শহরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ প্রায় দেখা যায় না। অনেকের কাছে অতি বিরল এই ঘটনা। এদিকে বিবিসি রবিবার জানিয়েছে যে, তাঁদের একজন সাংবাদিককে সাংহাইতে বিক্ষোভ কভার করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এবং তাঁকে মারধর করা হয়েছে।
এর আগেও বহুবার চিনের কোভিড বিধি নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে সেদেশের জনতা। প্রায় তিন বছর পরও এই অতিমারীর প্রকোপ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়নি এই দেশ। সেখানকার বহু প্রদেশে কঠোরভাবে লকডাউন নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। সোমবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ৫২।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম